নয়াদিল্লি : টোম্যাটোর ( Tomato ) দামে নাভিশ্বাস ওঠার পর এবার সাধারম মানুষের চোখে জল আনবে পেঁয়াজের ( Onion Price )  ঝাঁঝ। হালফিলে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি দরেও টোম্যাটো কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। এবার ধীর ধীরে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। জানা যাচ্ছে বাজারে সরবরাহের ঘাটতির জেরেই পেঁয়াজের দাম বাড়া আটকানো যাচ্ছে না। মনে করা হচ্ছে আগামী মাসের মধ্যে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজো হয়ে যেতে পারে। 

কত বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম ?


তবে মনে করা হচ্ছে ২০২০ তে পেঁয়াজের দামের ঝাঁঝ যেভাবে চোখের জল ফেলিয়েছিল, ততটা না বাড়ারই কথা এবার । Crisil Market Intelligence and Analytics এর রিপোর্ট অনুসারে, বাজারে সরবরাহ-চাহিদার ভারসাম্যহীনতার কারণেই অগাস্টের শেষের দিকে পেঁয়াজের দাম বাড়বে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি হবে।  মনে করা হচ্ছে, প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে যাইহোক, পেঁয়াজের দাম ২০২০ সালের মতো আকাশ স্পর্শ করবে না। 


ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  রবি পেঁয়াজের জীবনকাল ১  থেকে ২ মাস কমে যায়। তাই ভয় পেয়ে  এই বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে তড়িঘড়ি পেঁয়াজ বিক্রি করে দেয় চাষিরা। তাই এবার খোলা বাজারে রবি পেঁয়াজের স্টক সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে অগাস্টের শেষের দিকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

পেঁয়াজের সরবরাহ আবার ঠিকঠাক হতে কিছুটা সময় লাগবে। খরিফ শস্য বাজারে এলে পেঁয়াজের দাম আবার স্বাভাবিকের দিকে যেতে পারে। অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসোম্বরের মধ্যেই বাজারে থিতু হতে পারে পেঁয়াজের দাম। জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে পেঁয়াজ যখন সস্তা হয়েছিল, তখন সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। যদিও পেঁয়াজ চাষিরা এখনই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না। 


রিপোর্টে বলা হয়েছে মনে করা হচ্ছে, এই বছর জমির পরিমাণ ৮ শতাংশ কমে যাবে, এবং খরিফ উৎপাদন গত বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ কমে যাবে। বার্ষিক উৎপাদন ২৯ মিলিয়ন টন (29 million tonnes) স্পর্শ করবে।  গত ৫ বছরের গড় উৎপাদনের থেকে যা কিছুটা বেশি। 


সুতরাং, খরিফ ও রবি উৎপাদন গত বছরের থেকে কম হওয়া সত্ত্বেও এ বছর সরবরাহের বড় সঙ্কটের সম্ভাবনা নেই। তবে, অগাস্ট এবং সেপ্টেম্বরের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক কিছুরই নির্ণায়ক হবে।   


আরও পড়ুন :


অগ্নিমূল্য টম্যাটো, চুরি রুখতে এবার জমিতে ক্যামেরা বসালেন কৃষক!