Operation Sindoor: পাকিস্তানে মধ্যরাতে এয়ারস্ট্রাইক ভারতের। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। স্থল, নৌ এবং বায়ু - একযোগে প্রত্যাঘাত করেছে ভারতের তিন সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসবাদের মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দিতেই 'অপারেশন সিঁদুর' এই অভিযান। পাকিস্তানের ঢুকে পহেলগাঁও হামলার জবাব দিয়েছে ভারত। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মধ্যেই কড়া জবাব দিয়েছে ভারতের তিন সেনাবাহিনী। কোডনেম 'অপারেশন সিঁদুর'- এর মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি। লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনের ঘাঁটিও রয়েছে এই তালিকায়। যে প্রত্যাঘাতের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ, অবশেষে সেটাই হয়েছে।
পাকিস্তানের তরফেও এই প্রত্যাঘাতের কথা স্বীকার করা হয়েছে। ভারত স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, পাকিস্তানের সামরিক পরিকাঠামো কিংবা সাধারণ মানুষকে কোনওভাবেই নিশানা করা হয়নি। নির্দিষ্ট ভাবে বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতেই আঘাত হানা হয়েছে। যদিও অপারেশনের সিঁদুরের পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা, আন্তর্জাতিক সীমানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সীমান্তবর্তী এলাকায় (পুঞ্চ, রাজৌরি, উরি, কুপওয়াড়া) অবিরাম গুলিবর্ষণ করছে পাকিস্তান। ৩ জন ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যুও হয়েছে। তবে যোগ্য পাল্টা জবাব দিয়েছে বিএসএফ।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবার ভারতের তিন সেনাবাহিনী একত্রে আঘাত হেনেছে পাকিস্তানে। ৯টি জায়গায় জঙ্গি ঘাঁটি চিহ্নিত করে, ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে সেগুলি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সেনার তরফে জানানো হয়েছে অপারেশন সিঁদুর সফল হয়েছে।
কীভাবে এই ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকে সফলভাবে চিহ্নিত করে তারপর সেখানে আঘাত হানা হয়েছে
এক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে loitering munition- এটি এমন একটি ওয়েপন সিস্টেম বা অস্ত্র যা বেশিরভাগ সময়েই একটি ড্রোন হয়ে থাকে। যে জায়গাকে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা হয়, তার আশপাশে, উপরে উড়ে বেড়ায় এই ড্রোন। আগে থেকে নির্দিষ্ট করে রাখা টার্গেটের লোকেশন চিহ্নিত করা এর প্রথম কাজ। একবার টার্গেট লোকেট করা হয়ে গেলে ওই জায়গায় এই ড্রোন হামলা চালায়। এগুলিকে আত্মঘাতী ড্রোন কিংবা kamikaze ড্রোনও বলা হয়। কারণ নির্দিষ্ট টার্গেট খুঁজে পেয়ে গেলে তার আশপাশে ঘুরে বেড়ানো বন্ধ করে ওই ড্রোন সরাসরি আছড়ে পড়ে আঘাত হানে। এইসব ড্রোন মানুষের দ্বারাও পরিচালিত হয়। আবার নিজে নিজেও কাজ করতে সক্ষম। যেসব জায়গায় হামলা করা হবে তার কো-অর্ডিনেটস জোগাড় করেছিল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলি। আর ভারতের ভূখণ্ড থেকে সমস্ত হামলা চালানো হয়েছে।