নিউ দিল্লি : করোনা আবহে CBSE ও ICSE-র দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, এই সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ ? এই সংক্রান্ত এক ওপিনিয়ন পোলে দেখা যাচ্ছে, এই অতিমারি পরিস্থিতে CBSE ও ICSE-র দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে ঠিক বলে মনে করছেন ৫৬.৪ শতাংশ মানুষ। একই কারণে দ্বাদশের রাজ্যভিত্তিক বোর্ডের পরীক্ষাও বাতিল হওয়া উচিত বলে মনে করছেন ৫৬.৬ শতাংশ মানুষ।
ইতিমধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে ক্লাস টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষা বাতিল করেছে রাজস্থান, গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত এবং উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্য। অফলাইন পরীক্ষার পথে হাঁটছে ছত্তিসগড়। কর্ণাটক এবং ওড়িশা এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গঠন করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। পরীক্ষা হলে করোনা বিধি মেনে তা কীভাবে নেওয়া হবে? যদি পরীক্ষা না হয় তাহলে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে? সেইসব বিষয়ে সরকারকে রিপোর্ট দেবে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি।
এই পরিস্থিতিতে CBSE ও ICSE-র দ্বাদশের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে অধিকাংশজনই মতপ্রকাশ করেছেন, ছাত্রদের কাছে কেরিয়ার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, দেশজুড়ে এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ চলাকালীন স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়া উচিত। বিশেষ করে অফলাইন পরীক্ষা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
তবে সমীক্ষায় যোগ দেওয়া প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ জানাচ্ছেন, ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে ছাত্রদের কেরিয়ারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এই পরিস্থিতি এড়াতে সরকারের ডিজিটাল মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষার আয়োজন করার মতো বিকল্প পথে হাঁটা উচিত। ৭৬.৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, ছাত্রদের কেরিয়ারে বছর নষ্ট হওয়া আটকাতে IIT/JEE, NEET-এর মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা এবং স্বচ্ছভাবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করা উচিত সরকারের।
যদিও ৬০ শতাংশ মানুষ দেশে ডিজিটালগত বিভাজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, যেসব ছাত্রের কাছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুযোগ নেই, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যারা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা। একটা বড় সংখ্যক মানুষ মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় দেশের গ্রামীণ এলাকায় ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নয়নে নজর দেওয়া উচিত সরকারের। এছাড়া ৬৩ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, এই বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত।
সমীক্ষায় যোগদানকারী ৪৬.২ শতাংশ মানুষ বলেছেন, এই ছাত্র-ছাত্রীদের টিকাকরণের পর পরবর্তীকালে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।