কলকাতা:  শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবির প্রসঙ্গে এবার লোকসভার স্পিকারকে ফোন করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিন সুদীপ জানান, শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বললেন, ‘সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আবেদন জানুয়ারিতেই করেছি। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতেও আবেদন করেছি। এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।‘ 


‘অবিলম্বে দুজনের সাংসদ পদ খারিজে পদক্ষেপ করুন’, ওম বিড়লাকে ফোনে আর্জি করেন বলে জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, স্পিকার সুদীপকে আশ্বাস দেন, ফাইল দেখে পর্যালোচনা হবে। 


বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূলের দুই সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একজন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল।  অপরজন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী।


এই দু’জনেরই সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারী, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ করতে হবে।


জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূলের এসব শোভা পায় না। ২০-২৫ জন বিধায়ককে ইধার-উধার থেকে এনেছে।


পাল্টা কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন কুণাল। বলেন, নারদ মামলায় অবিলম্বে শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা উচিত। দল বদলালেও, বিধায়ক বা সাংসদ পদ না ছাড়ার রেওয়াজ, এ রাজ্যে দীর্ঘদিনের। অতীতে তৃণমূলেও এই প্রবণতা ছিল, এখন বিজেপিতেও।


পাশাপাশি, শাসক-বিরোধী তরজা বেধেছে রাজ্যসভার মনোনয়ন ও পদ নিয়েও।  বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার একমাসের মাথায় পরাজিত বিজেপি প্রার্থী স্বপন দাশগুপ্তকে ফের রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি। 


এনিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর তরজা শুরু হয়েছে। কুণাল ঘোষ বলেন, যদি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে আবার তাঁকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত করে রাজ্যসভায় পাঠাবার দ্রুততা এই কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে দেখা যায়, তাহলে আমাদের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জন দলত্যাগী সাংসদের সাংসদ পদ খারিজের যে দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রমাণ, ধারা দিয়ে যে চিঠি লোকসভার অধ্যক্ষকে দিয়েছেন, লোকসভার অধ্যক্ষ কেন নীরব?


এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, যে সাড়ে তিন বছর জেল খেটেছে, তাঁর প্রশ্নের উত্তর দেব না।