নয়াদিল্লি : দ্বিতীয় বৈঠক দূরত্ব ঘুচিয়েছে। যা কার্যত অধরা ছিল প্রথম বৈঠকে। বেঙ্গালুরুর বৈঠকের পর বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে একতায় কোনও ঘাটতি রাখা হবে না বলে একপ্রকার 'অলিখিত চুক্তি'ই করে নিয়েছে বিরোধী শিবির, অন্তত রাজনৈতিক মহলের তা-ই পর্যবেক্ষণ। কারণ অবশ্যই, রাজ্যভিত্তিক নানা সমীকরণকে দূরে সরিয়ে রেখে হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরে প্রতিনিধিদল পাঠানো INDIA-র। এবার নতুন এই মঞ্চে এক জায়গায় আসা সমস্ত দলের মধ্যে সমীকরণের ভিত আরও মজবুত করতে তৃতীয় দফায় বৈঠকে বসতে চলেছে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স-এর শরিক দলগুলি। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, আগামী ৩১ অগাস্ট মুম্বইয়ে হতে চলেছে বিরোধী শিবিরের তৃতীয় দফার বৈঠক।  চলবে পয়লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।


শোনা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুর ধাঁচেই হতে চলেছে এবারের বৈঠক। ৩১ অগাস্ট প্রথম দিনে বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে কথোপকথন-আলাপচারিতা সারবেন। পরের দিন হবে মূল বৈঠক। ওই সূত্রের খবর অনুযায়ী, বৈঠকের দিনক্ষণ নিয়ে সব দলের নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই সবুজ সংকেত দিয়েছেন। সম্ভবত, পোওয়াইয়ের একটি হোটেলে বৈঠক হবে। পয়লা সেপ্টেম্বর INDIA-র প্রতিনিধিরা যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করবেন।


তৃতীয় দফার বৈঠকের নির্ঘণ্ট নিয়ে একাধিক আলোচনা চলছিল। কিন্তু, কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি এই কারণে যে, সব নেতাকে একসঙ্গে পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষমেশ অবশ্য ৩১ অগাস্ট বৈঠকে সব দলের সায় আছে বলে সূত্রের খবর। এবার আয়োজকের দায়িত্বে থাকছে শিবসেনা (উদ্ধব ঠাকরে) ও এনসিপি-র শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী। তাদের সঙ্গে থাকছে কংগ্রেস। অর্থাৎ মহা বিকাশ অঘাড়ি জোটের শরিকরা। এই আবহে বিরোধী শিবির INDIA-র কীভাবে এগনো উচিত, তা নিয়ে আলোচনার জন্য আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী।


উল্লেখ্য, বিরোধী শিবিরের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল পাটনায়। জুন মাসে। গতমাসে বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বৈঠক। তৃতীয় দফার বৈঠকে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে একযোগে লড়াইয়ের লক্ষ্যে কমিটি গঠনের দিকে জোর দিতে পারে INDIA। প্রত্যেক দলের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হতে পারে। একসঙ্গে কী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে তা নির্ধারণ করার বিষয়টিও দেখতে পারে কমিটি। বেঙ্গালুরুর বৈঠক শেষে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিরোধী শিবিরের নাম ঘোষণা করেন- ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। ২৬টি দলের প্রায় ৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে সেই ঘোষণা করা হয়। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, মুম্বইয়ে পরবর্তী বৈঠকে সব দলের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। একজনকে আহ্বায়কও রাখা হবে।