সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা : শুক্রবার শহরের ঘুম ভেঙেছিল মন ভেঙে দেওয়া খবরে। বেহালার বড়িশায় ( Behala Barisha ) লরির ধাক্কায় প্রাণ যায় ছোট্ট এক স্কুল পড়ুয়ার। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বেহালার একাংশ। তার ২৪ ঘণ্টা পেরতো না পেরতেই কলকাতা শহরে ফের এক পথ দুর্ঘটনা। ঘটনাস্থল দ্বিতীয় হুগলি সেতু।
দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে দুর্ঘটনা : শুক্রবার রাতে ফ্লাইওভারে ওঠার মুখে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ফের বেপরোয়া লরির ধাক্কায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গভীররাতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে দুর্ঘটনা কেড়ে নিল শহরের এক পাঁচতারা হোটেল কর্মীর প্রাণ । মৃত যুবতীর নাম সুনন্দা দাস । তিনি হাওড়ার নেতাজি সুভাষরোডের বাসিন্দা।
প্রতিদিনের মত শুক্রবারও স্কুটিতে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ধর্মতলা অঞ্চলের এক পাঁচতারা হোটেলের পারচেজ ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন সুনন্দা। এক সহকর্মীকে আলিপুরে নামিয়ে দিয়ে হাওড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন সুনন্দা। তখনই ঘটে যায় সেই মর্মান্তিক ঘটনা।
রাত তখন ১১টা। খিদিরপুরের দিক থেকে স্কুটারে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দিকে যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সময় পিছন দিক থেকে একটি লরি যুবতীর স্কুটারে ধাক্কা মারে। পুলিশ সূত্রে খবর এতে তাঁর শরীরের কিয়দাংশ পিষে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে ওই হোটেল কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
হেস্টিংস থানা ঘাতক লরিটিকে আটক করলেও পলাতক চালক। একই দিনের মধ্যে পরপর এমন দুর্ঘটনায় মর্মাহল শহরবাসী। পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। শুক্রবার বেহালার ঘটনায় যেমন প্রশ্ন উঠেছে স্কুলের সামনে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও। শুক্রবার বাবার হাত ধরে স্কুলে যাওয়ার পথেই শেষ হয়ে যায় সৌরনীলের সারাজীবনের পথচলা। বেপরোয়া লরি কেড়ে নেয় সাত বছরের একরত্তির প্রাণ! শুক্রবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেহালার চৌরাস্তা। পুলিশের গাড়ি, একের পর এক বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা! পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে, মৃতদেহ আটকে রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ! উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে পুলিশ! এই ঘটনা ঘিরে, প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন :
ED ডাকবে না, ফ্ল্যাট-প্রতারণা অভিযোগ নিয়ে নুসরতের পাশে অভিনেতা যশ