নয়া দিল্লি: বিজেপি সরকারের (BJP Govt) বিরুদ্ধে সংসদ অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস (Congress) সহ বিরোধীরা। কিন্তু আজ খুব সহজেই সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে। বিরোধীরা যে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল তার জবাবি ভাষণ এদিন দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। প্রায় দু'ঘণ্টা তিনি ভাষণ দিয়েছেন। এই ভাষণের পরেই বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায় ভোটাভুটিতে। স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দিলেন, সংখ্যা গরিষ্ঠতায় অনাস্থার বিপক্ষেই ভোট গিয়েছে বেশি।
এদিকে আজ অনেক আগেই সংসদ থেকে বেরিয়ে যান কংগ্রেস সাংসদরা। কংগ্রেস শূন্য লোকসভায় অধীরের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের প্রস্তাব পাশ হতে তাই বেশি সময় লাগেনি। আসলে জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রথম দেড় ঘণ্টা বিরোধীদের নানা বিষয়ে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় পর্যন্তও মণিপুর ইস্যু নিয়ে কোনও কথা না বলায় একাধিকবার ‘মণিপুর, মণিপুর’ ধ্বনি শোনা গিয়েছে সংসদে। তারপর বিরোধীদের একটা বড় অংশ ওয়াক আউট করে। তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন কংগ্রেস সাংসদরাই। সংসদে উপস্থিত বিরোধীদের সংখ্যা ছিল নামমাত্র।
তবে বিরোধী পক্ষের ধাক্কা এখানেই শেষ নয়। এদিনই লোকসভা থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাসপেনশনের প্রস্তাব পাশ হল লোকসভায়। কংগ্রেস অনাস্থা আলোচনা ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল আগেই। সংসদে উপস্থিত বিরোধীদের সংখ্যা ছিল নামমাত্র। কংগ্রেস-শূন্য লোকসভায় সহজেই পাশ হয়ে যায় অধীরের বিরুদ্ধে সাসপেনশনের প্রস্তাব। অসংসদীয় আচরণের অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীরকে। এ ব্যাপারে প্রিভিলেজ কমিটির সিদ্ধান্ত না হওয়া অবধি সাসপেন্ডই থাকবেন অধীর।
আরও পড়ুন, 'মণিপুরে শান্তির সূর্যোদয় হবেই, দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে', জানালেন মোদি
মূলত লোকসভায় ক্রমাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগেই অধীর চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।'ক্ষমা চাইতে বলেছিলাম, কিন্তু রাজি হননি কংগ্রেস সাংসদ', অধীরকে সাসপেন্ড করে সংসদীয় মন্ত্রীকে বললেন অধ্যক্ষ। প্রসঙ্গত, মণিপুর ইস্যুতে সদ্য প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন অধীর চৌধুরী। নীরব মোদির প্রসঙ্গ টেনে নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।