ইসলামাবাদ : ভারতীয় দূতাবাসের ১২ জন আধিকারিককে কোয়ারেন্টিনে যেতে বলল পাকিস্তান। পরিবারের সদস্য ও গাড়ির চালকদেরও কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারত থেকে ফেরার পথে এক আধিকারিকের স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। তারপরই তাঁদের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলে পাকিস্তান। 


রবিবার পাকিস্তানের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেন, ২২ মে ওই ১২ জন আধিকারিক সপরিবারে ওয়াঘা সীমানা হয়ে পাকিস্তানে ঢোকেন। ১২ জনেরই কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ছিল। কিন্তু, কোভিড সুরক্ষাবিধি মেনে তাঁদের পরীক্ষা করানো হয়। তখনই পাকিস্তানের স্বাস্থ্য আধিকারিকদের করা Rapid Antigen Test-এ এক আধিকারিকের স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে।


এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পাকিস্তানে অতিমারি মোকাবিলার শীর্ষ বডি ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার। তারা ১২ জন আধিকারিক, তাঁদের পরিবারের সদস্য এবং গাড়ির চালকদের কোয়ারেন্টিনে যেতে বলে। ওই মুখপাত্র জানান, ভারতীয় দূতাবাসকে কঠোরভাবে গাইডলাইন মেনে চলতে বলেছে NCOC। 


কূটনৈতিক সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, দুই দেশে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর অনুযায়ী, যদি কূটনৈতিক বিভাগের কোনও কর্মী বা তাঁদের সহযোগী কারও করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে, তাহলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে, সেই দেশে তাঁদের কোয়ারেন্টিনে পাঠাতে হবে। সেই অনুযায়ী কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বলেছে পাকিস্তান।


প্রসঙ্গত, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো পাকিস্তানেও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। এপর্যন্ত সেখানে করোনায় ২০ হাজার ৩০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লক্ষ ৩ হাজার ৫৯৯ জন। সোমবার এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।


এদিকে করোনা মোকাবিলায় পাকিস্তানেও টিকাকরণ শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে ৩০ বছর ও তার বেশি বয়সিদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে সেখানে। এপর্যন্ত ৫০ লক্ষর বেশি ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ফৈজল সুলতান। সেখানকার আধিকারিকদের দাবি, পাকিস্তান সেই ৩০টি দেশের মধ্যে রয়েছে যেখানে ৫০ লক্ষ ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে।