পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফওয়াদ হুসেন সম্প্রতি ট্যুইট করে আসন্ন দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারানোর ডাক দেন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ জম্মু ও কাশ্মীরে বাতিল করা সহ একাধিক ইস্যুর উল্লেখ করে মোদি ‘ভারসাম্য হারিয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ট্যুইটে লেখেন, ভারতের মানুষের উচিত মোদির পাগলামো পরাস্ত করা। আরেকটা নির্বাচন (৮ ফেব্রুয়ারির দিল্লি বিধানসভা ভোট) হারার ভয়ে চাপে পড়ে মোদি হাস্যকর সব দাবি করছেন, গোটা অঞ্চলে বিপদ ডেকে আনছেন। মোদি কাশ্মীর, নাগরিকত্ব আইন ও ভেঙে পড়া অর্থনীতি নিয়ে ঘরে-বাইরে তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ভারসাম্য হারিয়েছেন।
এর কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতেই দিল্লির আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কেজরিবাল ফওয়াদকে ট্যুইটে কড়া জবাব দিয়ে লেখেন, নরেন্দ্র মোদিজি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আমারও প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির ভোট ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমরা সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় মদতদাতা, পৃষ্ঠপোষকের হস্তক্ষেপ সহ্য করব না। পাকিস্তান যত খুশি চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু এই দেশের ঐক্য, সংহতিতে আঘাত করতে পারবে না।
দিনকয়েক আগে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে তিন-তিনটে যুদ্ধে হেরেছে, আরেকটা যুদ্ধ হলে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ওদের হারাতে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিনের বেশি সময় লাগবে না বলে অভিমত জানান প্রধানমন্ত্রী। দিল্লিতে এনসিসি-র এক অনুষ্ঠানে তিনি ২০১৬-র সেপ্টেম্বর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ ঘাঁটির ওপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলার উল্লেখ করেন। গত ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসবাদী ট্রেনিং ক্যাম্পে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানের প্রসঙ্গও তোলেন। কাশ্মীরে আত্মঘাতী সন্ত্রাসবাদী হামলায় সেনা ও আধাসেনা জওয়ানদের প্রাণহানির জবাবেও ওই অভিযান চলে।