পেশোয়ার: ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানের পেশোয়ার (Peshawar)। শুক্রবার পেশোয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মারা গিয়েছেন ষাট জনেরও বেশি। জখমের সংখ্যা পেরিয়েছে ২০০। শনিবার ওই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট খোরাসান (ISIS-Khorasan)। ইসলামিট স্টেট জঙ্গিগোষ্ঠীরই একটি মডিউল এটি। পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনওয়া প্রদেশে পেশোয়ারের কিসসা খোয়ানি বাজার এলাকায় একটি শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটনায় আইসিসের (isis) এক আত্মঘাতী জঙ্গি। সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করে অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তির আশ্বাস দিয়েছে পাকিস্তান প্রশাসন। পাকিস্তানের এই এলাকা আফগানিস্তান লাগোয়া। পেশোয়ারের এই এলাকা শিয়া অধ্যুষিত বলেই পরিচিত। 


পাকিস্তানের প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, এই আত্মঘাতী হামলার সঙ্গে যুক্ত হিসেবে তিনজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের জালে ফেলতে কাজ চলছে বলে জানানো হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের ঠিক আগে সেখানে দুই জঙ্গি ছিল, তাদের মধ্যেই একজন ছিল আত্মঘাতী জঙ্গি। প্রথমে মসজিদে ঢুকে পরপর গুলি চালিয়ে মেরে ফেলা হয় নিরাপত্তারক্ষীকে। তারপরেই একছুটে মসজিদের ভিতরে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী জঙ্গি।


বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী দল। জখমদের উদ্ধার করে লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পাশাপাশি জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাও। এমনকী তাঁরা নিজেদের মোটর বাইক ও গাড়িতে করেও জখমদের হাসপাতালে পৌঁছে দেন। বিস্ফোরণের পর সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘিরে দেয় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। পাশাপাশি নমুন সংগ্রহের কাজ শুরু করে দেয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ঘটনার প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলবও করেছেন। পেশওয়ারের মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খানও ঘটনার নিন্দা করেছেন।  


শুক্রবারের নমাজের সময় ভিড় ছিল ওই মসজিদে। সেই কারণেই হতাহতের সংখ্যা বিপুল হয়েছে। পরিস্থিতি এমনই যে ওই এলাকায় প্রায় প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ এই সন্ত্রাসবাদী হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগেও একাধিকবার পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। তবে শুক্রবার পেশোয়ারে হওয়া সন্ত্রাসবাদী হামলা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বলে সূত্রের খবর। 
 
আরও পড়ুন: পেশোয়ারের মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ক্রমশ বাড়ছে মৃত্যু, জখম ৮০