ইসলামাবাদ : ভারতের সঙ্গে শুল্ক সংঘাতের আবহেই এবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও চিফ অফ আর্মি স্টাফ, ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ২৫ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইড-লাইনে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন ট্রাম্প। এমনই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের খাইবার নিউজ। 

Continues below advertisement

রিপোর্ট অনুযায়ী, বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যা থেকে শুরু করে কাতারের উপর ইজরায়েলি হামলার পরিণতি-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনায় নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা নিয়েও কথা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস বা ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস থেকে এখনও পর্যন্ত এই সফর সম্পর্কে কোনও সরকারি তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অসীম মুনিরের পরপর দু'বার ওয়াশিংটন সফরের পরপরই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

Continues below advertisement

বছরের পর বছর ধরে কূটনৈতিকভাবে দূরে থাকার পর, জুন মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মুনিরকে স্বাগত জানান এবং বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আলোচনা করেন তখন থেকে মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কে উষ্ণতা বেড়েছে। কয়েকদিন পর, জুলাই মাসে, ট্রাম্প প্রশাসন পাকিস্তানের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করে এবং বলে যে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদকে তার "বিশাল তেলের মজুত" উন্নয়নে সহায়তা করবে।

মে মাসে ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘাতের সময় ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে শান্তি-হস্তক্ষেপের কৃতিত্ব দেয়। তারপর থেকেই মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি হতে থাকে।

প্রসঙ্গত, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের অবনতি নিয়ে দিনকয়েক আগে বিস্ফোরক দাবি করেছেন প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা (US NSA) জ্যাক সুলেভান ( Jake Sullivan)। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে খোদ মার্কিন মুলুকে। প্রেসিডেন্ট পদে থাকা ব্যক্তির পরিবারের ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা উঠে এসেছে সুলেভানের মুখে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে ট্রাম্পের (Donald Trump) নীতি। 

কী বলেছেন প্রাক্তন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) জ্যাক সুলিভানের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাকিস্তানে তাঁর পরিবারের ব্যবসায়িক চুক্তিগুলিকে সাপোর্ট করার জন্য ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ককে খারাপ করেছেন। বাইডেন-যুগের এই আধিকারিক ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ককে বিসর্জন দেওয়ার ট্রাম্পের পদক্ষেপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব স্বার্থের জন্য "বিশাল কৌশলগত ক্ষতি" বলে অভিহিত করেছেন। US President Donald Trump