সংবাদ মাধ্য়মের খবর অনুযায়ী, ধর্ষণ সংক্রান্ত মামলার বিচার হবে ফাস্ট ট্র্য়াক আদালতে। যাতে সংশ্লিষ্ট মামলায় অযথা দেরি না হয়। সূত্রের খবর, ইমরান খান জানিয়েছেন নতুন আইন হবে স্বচ্ছ এবং কঠোর। এটি অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাই কোনওভাবেই যেন দেরি না হয়। দেশবাসীকে সুরক্ষা দেওয়া আমাদের কর্তব্য়। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ধর্ষিতারা যাতে নির্ভয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন সেদিকে নজর দিতে হবে পুলিশ এবং প্রশাসনকে। ধর্ষিতাদের পরিচয় গোপন রাখতে হবে এবং নিরাপত্তার ব্য়বস্থা করতে হবে।
জিও টিভির খবর অনুযায়ী, বৈঠকে কোনও কোনও মন্ত্রী ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। জবাবে ইমরান জানিয়েছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে পুরুষাঙ্গ অকেজো করে দেওয়া হোক। তারপর ধাপে ধাপে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পাক সরকার এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও ঘোষণা না করলেও তেহরিক-ই-ইনসাফ সেনেটর ফয়জল জাভেদ ধর্ষণ নিয়ে টুইট করেছেন, ধর্ষণ নিয়ে নতুন আইন পাক সংসদে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য়, ২০১৮ সালে লাহোরে বছর সাতেকের এক শিশুকে গণধর্ষণ করে হত্য়া করা হয়। ধর্ষকদের শাস্তি কী হবে, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। এরপরই তৎপর হয় ইমরান সরকার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান, ধর্ষণের ঘটনা এবং শিশু নিগ্রহ কমাতে ত্রি-স্তরীয় আইন আনবে সরকার। যৌন নিগ্রহকারীদের নাম নথিভুক্ত করা হবে, ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক সাজা ও কার্যকর পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।