লাহৌর: পাকিস্তানে (Pakistan News) জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি (Arrest Warrant) ইমরান খানের বিরুদ্ধে (Imran Khan)। দুর্নীতি মামলায় গত ৯ মে গ্রেফতার হন ইমরান। তার পর তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, তাণ্ডব এবং অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। অগ্নিসংযোগ নিয়ে দু'টি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার পাকিস্তানের একটি আদালত ইমরানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১০ মে ইমরান এবং তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI)-এর বিরুদ্ধে FIR ধায়ের করে লাহৌর পুলিশ। শাসকদল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (PML-N)-এর দলীয় কার্যালয় এবং একটি কন্টেনারে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে তাতে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে মুখ খোলেন পাকিস্তানের আদালতের এক আধিকারিক। তিনি বলেন, "লাহৌরের সন্ত্রাস দমন আদালতের বিচারক আভের গুল খান মঙ্গলবার জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ইমরান খানের বিরুদ্ধে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তাঁর দলের আরও ছয় নেতার বিরুদ্ধেও জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা।"
শীঘ্রই ইমরানকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে খবর। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও, এখনও পর্যন্ত পাক সেনা বা সরকারের তরফে এ নিয়ে কোনও নির্দেশ আসেনি। নির্দেশ হাতে পাওয়া মাত্র ইমরানকে গ্রেফতার করে তোলা হবে আদালতে।
ইমরান ছাড়াও তাঁর দলের নেতা তথা দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার, মুরাদ সইদ, জামশেদ ইকবাল চিমা, মুসারত চিমা, মিয়াঁ আসলাম ইকবাল এবং ইমরানের পরিবারের সদস্য হাসান নিয়াজির বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগের মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে পাক আদালত।
যদিও গোটাটাই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ। ট্যুইটারে তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'এখানে যে প্রশ্ন ওঠা উচিত, তা হল, নিরস্ত্র অবস্থায় ১৬ জনক আন্দোলনকারীকে হত্যার ঘটনায় কেন কোনও তদন্ত হচ্ছে না? ওই ১৬ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিে মার গিয়েছেন ওঁরা। সেই নিরিখে কোনও পুলিশকর্মীর গায়ে একটি গুলিও আঁচড় কাটেনি'।
ইমরানের দাবি, 'পুলিশের ছোড়া গুলিতে পায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয় তিন আন্দোলনকারীর। তাঁদের পা কেটে বাদ দিতে হয়েছে। আরও নয় জনের মৃত্যুর খবর পাচ্ছি, কিন্তু নিশ্চিত ভাবে জানার উপায় নেই। কারণ তাঁদের পরিবার-পরিজনরা গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন ওঁরা'।
ইমরানের মতে, সভ্য সমাজে, যেখানে আইনের শাসন রয়েছে, এমন যে কোনও দেশে এতদিনে তদন্ত হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু আন্দোলনকারীদের মৃত্যু থেকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরুই হয়নি। ক্ষমতাসীন সরকার দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা চালাতেই ব্যস্ত রয়েছে।