নয়াদিল্লি : অধিবেশন চলাকালীন গ্যালারির দর্শকাসন থেকে আচমকা ঝাঁপ ২ যুবকের ! একের পর এক বেঞ্চ টপকে, কার্যত সংসদের ভিতরে তাণ্ডব চালালেন তাঁরা। এই ঘটনার পর গণতন্ত্রের পীঠস্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে দেশজোড়া কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। কোন ফাঁক গলে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার পর আপাতত সংসদ ভবন চত্বরে ভিজিটররা প্রবেশ করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। নতুন করে ঢেলে সাজানো হবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার মধ্যে রয়েছে- সাংসদ, স্টাফ ও প্রেসের জন্য পৃথক প্রবেশপথ। ভিজিটরদের যখন আবার নতুন করে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে, তখন তাঁদের চতুর্থ একটি গেট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। ভিজিটরদের পাস দেওয়া সাসপেন্ড করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, আজকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে ভিজিটর গ্যালারিতে কাচ বসানো হবে। যাতে আগামীদিনে কেউ লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপ না মারতে পারেন। বিমানবন্দরের ধাঁচে বডি স্ক্যান মেশিন বসানো হবে সংসদে।
ঘটনার বিবরণ-
সংসদ ভবনের ভেতর থেকে যে দু'জনকে ধরা হয়েছে হয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- লখনৌয়ের সাগর শর্মা ও মহীশুরের ডি মনোরঞ্জন। তাঁদের কয়েকজন সাংসদ পেটানও। অন্যদিকে, সংসদের বাইরে থেকে যাঁদের পাকড়াও করা হয়েছে, তাঁরা হলেন- মহারাষ্ট্রের লাটুরের অমল শিণ্ডে ও হরিয়ানার হিসারের নীলম দেবী। এই চার জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে দিল্লি পুলিশের অ্যান্টি-টেরর সেল। আরও দুই জন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। পঞ্চম জনের নাম ললিত ঝা। অন্য পাঁচ জন তাঁর গুরগাঁওয়ের বাড়িতে ছিলেন। ষষ্ঠ জনের নাম ভিকি শর্মা। সম্ভবত তিনিও গুরগাঁওয়ের বাসিন্দা। তাঁদের খোঁজ চলছে বলে খবর।
এদিকে ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও। তিনি বললেন, "আজ যে ঘটনা ঘটল তা আমাদের সবার কাছ উদ্বেগের। গুরুতরও। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তও চলছে। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাউসের নিরাপত্তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হবে। আগামীকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত কক্ষ মুলতুবি রাখা হল।"