সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর : ইটাহারে বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে খুন হলেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের জামাই। তৃণমূল কর্মীকে খুনের (TMC Worker Murdered) পিছনে বিজেপি হাত রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি (BJP)।
পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) ফল বেরিয়েছে ৫ মাস হয়ে গেল। কিন্তু গ্রাম বাংলায় খুনোখুনি থামার কোনও লক্ষ্মণ নেই ! শ্বশুরবাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে খুন হলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের জামাই। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম তন্ময় সরকার। বয়স ৩২ বছর। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) কুশমণ্ডিতে।
মঙ্গলবার রাতে শ্যালিকার বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, রাস্তায় তাঁর মোটরবাইক আটকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতাল ও সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গভীর রাতে সেখানেই মৃত্যু। পতিরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ও নিহতের শ্বশুর দেবকুমার সরকার বলেছেন, 'আমাদের বিয়েবাড়িতে এসেছিল জামাই, কাল রাতে যখন ফিরছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির বাড়িতে ফিরছিলেন, সেই সময় রাস্তায় খবর আসে একটা গন্ডগোল হচ্ছে, সেখানে গিয়ে দেখি জামাই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমাদের ধারনা বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এটা করেছে। কারণ আমি যখন ভোটে দাঁড়াই, তখন জামাই এসে প্রচারে অংশ নিয়েছিল। সে কারণে খুন করা।' যদিও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
চলতি বছরে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই, ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সিপিএম কর্মী ২৩ বছরের মনসুর আলম। ২১ জুন মৃত্যু হয় তাঁর। প্রসঙ্গত, গত কয়েকমাসে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতে খুন হয়েছেন একাধিক তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এবার ইটাহারে খুন হলেন, পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যের জামাই।
আরও পড়ুন- জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ল প্ল্যাটফর্মে, মৃত্যু, জখম একাধিক
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।