নয়াদিল্লি: সংসদে স্মোক ক্যান নিয়ে তাণ্ডবের (Parliament Security Breach) ঘটনার পুনর্নির্মাণ করবে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সূত্রের খবর, শনিবার বা রবিবার ধৃতদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে পারে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। রঙিন স্প্রে নিয়ে কীভাবে তাঁরা সংসদে ঢুকেছিল, কীভাবে পুরো ছক বাস্তবায়িত করেছিল তা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ। সংসদ ভবনের গেট থেকে এসকর্ট করে সংসদের ভিতর পর্যন্ত তাঁদের নিয়ে যাবেন স্পেশাল সেলের আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশন চলায়, ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। শনি ও রবিবার সংসদে অধিবেশন না থাকায়, এই দুদিনের মধ্যে ঘটনার পুনর্নির্মাণের কাজ শেষ করবে দিল্লি পুলিশ।


আরও আটক:
সংসদে স্মোক অ্যাটাকের ঘটনায় এবার আটক করা হল মাস্টারমাইন্ড ললিতের (Lalit Jha) ২ জন সহযোগীকে। মহেশ ও কৈলাস নামে ২ জনকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। তাঁরা ২ জনেই ললিতকে সাহায্য করেছিল বলে মনে করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ললিতের ২ সহযোগী কৈলাশ ও মহেশ তাঁকে রাজস্থানের (Rajasthan) হোটেলে থাকতে সাহায্য করেছিল। সংবাদমাধ্যম দেখে ঘটনার গতিপ্রকৃতি জানার চেষ্টা করে ললিত। পুলিশ তাঁকে তন্নতন্ন করে খুঁজছে জানতে পেরেই বাসে করে রওনা দেয় দিল্লিতে। পুলিশ কোথায় কোথায় যাচ্ছে, তাও জানত ললিত।  বন্ধুদের কাছে কী করা উচিত, তার পরামর্শও চায়। এমনকি, ললিতের সহযোগী মহেশও ভগৎ সিং ফ্যান ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। সংসদে হানায় যোগ দিতে চেয়েছিল মহেশও। কিন্তু তাঁর পরিবার রাজি না হওয়ায় শেষমুহূর্তে সেই প্ল্যান বাতিল করে ললিতের সহযোগী মহেশ। 


পুড়িয়ে দেওয়া হয় ফোন?
সংসদে হানার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিতকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তদন্তকারীরা। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে সহযোগীদের মোবাইল ফোন পুড়িয়ে দেয় ললিত। রাজস্থানে পুড়িয়ে দেওয়া হয় ফোনগুলি। মোট ৪ জনের ফোন পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করা হয়েছে সূত্র মারফত। হামলায় অভিযুক্ত মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, অমল ধনরাজ শিন্ডে ও নীলম দেবী...এই চারজনেরই ফোন পুড়িয়ে দেয় ললিত। ঘটনার দিন এই ৪ জনেরই ফোন ছিল ললিতের কাছে। নিজের ফোনে ঘটনার ভিডিও করেছিল ললিত। 


নজর কললিস্টে:
সংসদে স্মোক অ্যাটাকের ঘটনায়, ধৃতদের কল লিস্ট (Call List) পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে দেখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। সূত্রের খবর, হামলার আগে ১৫ দিন ধৃতদের ফোন থেকে ফোন করা হয়েছে এমন ৫০ টি নম্বরের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যাদের নম্বরে ফোন করা হয়েছিল, তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা করবেন তদন্তকারীরা। সংসদে হানার নেপথ্যে শুধুমাত্র ৬-৭ জনই যুক্ত, না এর বাইরেও অন্য কারও হাত আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: পরিবার নিয়ে বাগুইআটিতে আস্তানা ললিতের! ১০ ডিসেম্বর থেকে ছিলেন 'বেপাত্তা'