নয়াদিল্লি : সংসদ ভবনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘন ঘিরে উত্তাল দেশ। কোথায় গাফিলতি হল তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে নতুন সংসদ ভবনে পৌঁছেছেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সিনিয়র আধিকারিকরা। আইবি-র একটি দল ইতিমধ্যে সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সংসদে জিরো আওয়ারে ভিজিটরস গ্যালারি থেকে অভিযুক্তরা ফ্লোর ঝাঁপ দেন। ব্যুরোর এক আধিকারিক বলছেন, 'ওঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শর্মা মহীশুরের বাসিন্দা। তিনি বেঙ্গালুরুর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করছেন। অপরজনও মহীশুরের বাসিন্দা।' 


তাঁর সংযোজন, 'ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের জন্য আটকদের বাড়িতে স্থানীয় পুলিশকে নিয়ে পৌঁছেছে আইবি-র দল। অভিযুক্তদের ফোন সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কোনও সংগঠনের যোগাযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁদের কাছ থেকে লিখিত যা কিছু পাওয়া গেছে তা তদন্তের জন্য বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। '


এদিকে আইবি অন্যান্য তদন্তকারী এজেন্সির সঙ্গেও যোগযোগা রেখে চলছে। যাতে সংসদে নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘনকারী চার অভিযুক্ত সম্বন্ধে আরও তথ্য পাওয়া যায়। আইবি-র ওই আধিকারিক বলেন, 'ভিজিটরস গ্যালারিতে ঢোকার আগে অভিযুক্তরা যে সমস্ত চেক পয়েন্টে অতিক্রম করেছেন, সেসব জায়গার সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।' 


কিন্তু সংসদে ভবনে যাঁরা নিরাপত্তা লঙ্ঘন করলেন, তাঁরা কারা ? একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে দু'জন হলেন সাগর শর্মা ও বছর ৩৫-এর ডি মনোরঞ্জন। সাগর শর্মার বাবার নাম শঙ্করলাল শর্মা। অন্যদিকে, ডি দেবরাজ নামে জনৈক ব্যক্তির সন্তান ডি মনোরঞ্জন। সংসদের বাইরে থেকে যাঁদের আটক করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে একজনের নাম নীলম। ৪২ বছরের মহিলা তিনি। অপরজন বছর ২৫-এর অমল শিণ্ডে। 


তাঁদের নাম জানা গেলেও, বিশেষ কিছু এখনও জানা যায়নি। কারণ, পুলিশ তাঁদের সম্বন্ধে খুব অল্প তথ্যই প্রকাশ্যে এনেছে। তবে, জানা গেছে মনোরঞ্জন মহীশুরের বাসিন্দা। শহরের একটি কলেজে কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট। হরিয়ানার হিসারের বাসিন্দা নীলম। তিনি সিভিল সার্ভিস এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।