নয়াদিল্লি: পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে যত, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ (Modi Government)। সেই আবহেই সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন তলবে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। আচমকা এই বিশেষ অধিবেশন কেন, তা যদিও খোলসা করেননি তিনি। অমৃত কালে ওই পাঁচ দিন ফলদায়ক আলোচনা হবে বলে মন্তব্য  করেছেন তিনি। (Parliament Special Session)


বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে (অধুনা X) পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনের কথা জানান প্রহ্লাদ। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। যদিও দিল্লির একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, পুরাতন সংসদভবন থেকে নয়া সংসদভবনে স্থানান্তরণ প্রক্রিয়া শুরু করতেই এই বিশেষ অধিবেশন। পুরাতন সংসদভবনে অধিবেশন শুরু এবং নতুন সংসদভবনে তা শেষ হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।


পাঁচ দিনের ওই অধিবেশনের কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, এখনও পর্যন্ত তা স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে তাই। অমৃতকাল দপালন থেকে ভারতকে উন্নত দেশের তালিকায় নিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে একদিকে। আবার, বিশেষ অধিবেশন ডেকে কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিল পাস করিয়ে নিতে চাইছে বলেও দিল্লির রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে।



আরও পড়ুন: Adani Group: ভুঁইফোঁড় সংস্থা থেকে বিনিয়োগ, শেয়ারের দামে কারচুপি, আবারও অভিযোগে বিদ্ধ আদানিরা


সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার এই যে ঘোষণা, তার সময়কালও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, মুম্বইয়ে এই মুহূর্তে তৃতীয় দফার বৈঠকে ব্যস্ত বিজেপি বিরোধী I.N.D.I.A জোট। সেখানে ২৮টি রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি-র মোকাবিলা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। তাই বিরোধীদের মধ্যেও প্রশ্নের উদ্রেক করছে এই ঘোষণা।


আগামী ৮ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন বসছে। সেই নিয়ে প্রস্তুতি চলছে যখন, সুপ্রিম কোর্টে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। উপত্যকায় নির্বাচন করাতে তাদের কোনও আপত্তি নেই বলে যদিও জানিয়েছে তারা, কিন্তু উপত্যকাকে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর প্রশ্নে এখনও দোনোমোনো করছে। তাই পাঁচদিনের বিশেষ অধিবেশন ঘিরে জল্পনা ছড়াচ্ছে। 


অতি সম্প্রতিই সংসদের বাদল অধিবেশনে সমাপ্তি ঘটেছে। ২০ জুলাই থেকে ১২ অগাস্ট পর্যন্ত চলে  বাদল অধিবেশন। সেখানে মোট ২৩টি বিল পাস করায় কেন্দ্র। কিন্তু মণিপুর হিংসা এবং দিল্লিতে আমলা নিয়েগোর বিল ঘিরে আগাগোড়া উত্তপ্ত ছিল সংসদ। এমনকি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনা হয়। তিন দিন ধরে আলোচনা চলে সেই নিয়ে। তার পর কিছুদিন কাটতে না কাটতেই, সংসদে বিশেষ অধিবেশন ডাকার কী প্রয়োজন পড়ল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।