কলকাতা: রাত ১.৩০ পর্যন্ত শ্যুটিং চলেছে। ফ্লোরে তখন পুরোদমে ব্যস্ত সবাই.. কখন যে ১২টা বেজে গিয়েছে খেয়ালও নেই পাভেলের। হঠাৎ ফ্লোরে হাজির হল কেক। হাততালি দিতে দিতে ফ্লোরে ঢুকলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)। বুম্বাদার শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে জন্মদিন শুরু হল পরিচালক পাভেলের (Pavel)।


পাভেলের জন্মদিনের হাল-হকিকত


'ডাক্তারকাকু'-র শ্যুটিং প্রায় শেষের পথে। তবে জন্মদিনের দিনটা ছুটি নিয়েছেন পাভেল। এবিপি লাইভের তরফ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করা হয়েছিল পরিচালককে। ধন্যবাদ জানিয়ে পাভেল নিজেই বললেন, 'এবার জন্মদিনের শুভেচ্ছা প্রথম পেলাম বুম্বাদার থেকে। সেটেই কেক কাটলাম। তারপরে দেড়টায় শ্যুটিং শেষ করে বাড়ি।' 


জন্মদিনটা ছুটি ছিল। কী করলেন পরিচালক? পাভেল বললেন, 'শ্যুটিংয়ের চাপে ঘুম হচ্ছিল না। জন্মদিনের দিনটা ছুটি নিয়ে লম্বা একটা ঘুম দিলাম। আমায় এই প্রথমবার ক্যামেরার সামনে যেতে হল। তার জন্য বেশ কিছুদিন কড়া একটা ডায়েট মেনে চলতে হচ্ছে আমায়। তবে জন্মদিনে নো ডায়েট। সকালে উঠে ম্যাগি আর ফুচকা খেয়েছি..' হেসে ফেললেন পাভেল। 


আরও পড়ুন: Belashuru: পর্দায় সম্পর্কের সমীকরণ, কবীর সুমনের গলায় খেলা শেষ না কি 'বেলাশুরু'


আর উদযাপন? বন্ধুরা? পাভেল বললেন, 'সকালে কিছু কাজ সেরে ছেলেকে নিয়ে লঙ ড্রাইভে গিয়েছিলাম হাইওয়ে ধরে। এই প্রথম জন্মদিনে এতটা সময় ছেলের সঙ্গে কাটাতে পারলাম। জন্মদিনে এটাই আমার সেরা উপহার। সবাই জন্মদিনে প্রেমিকা বা বউয়ের সঙ্গে লঙ ড্রাইভে যায়.. আমি ছেলের সঙ্গে গেলাম। সে অবশ্য মাঝরাস্তায় আচার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর হ্যাঁ, আমার বাড়িটা রঙ হয়ে গিয়েছে। জন্মদিনে এটাও উপহার বটেই।'


রাত হচ্ছে। সারাদিনের কাজ মিটিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে রওনা হয়েছিলেন পাভেল। এখানেই উদযাপন শেষ? পাভেল বললেন, 'আমার মনে হয় না। আজ রাতে বাড়িতে কিছু বন্ধুরা আসবে। একটা ছোট্ট পার্টি হবে। তনুশ্রী ফোন করেছিল আমায়। ও শহরের বাইরে আছে। বলল, আমি ফিরছি। আমি নিশ্চিত ও ফিরলে কিছু একটা আয়োজন করবে।'


আর ৩ দিন পরের 'ডাক্তারকাকু'-র শ্যুটিং শেষ করবেন পাভেল। সামনেই একাধিক ছবি মুক্তি। সব মিলিয়ে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পাভেলের ব্যস্ততাও বাড়ছে সমানতালে।