নয়া দিল্লি : ভারতে অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে ফাইজারের ভ্যাকসিন। মঙ্গলবার একথা জানালেন সংস্থার সিইও অ্যালবার্ট বোর্লা। তিনি বলেন, আশা করছি খুব শীঘ্রই ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
ভারতে ফাইজার ও মডার্নার মতো বিদেশি ভ্যাকসিন ব্যবহারের জন্য সপ্তাহখানেক আগেই সবুজ সংকেত দেয় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। এজন্য ভারতে নির্দিষ্ট ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। একদিকে দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের তীব্র ঘাটতি এবং অন্যদিকে দ্রুত আমদানির লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই এই পদক্ষেপ।
এর আগে ভ্যাকসিন নির্মাতাদের কিছু ভারতীয়র উপর সীমিত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মুখোমুখি হতে হত। এখানকার মানুষের উপর সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিন কেমন কাজ করছে তা দেখার জন্যই ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু, চলতি মাসের গোড়ায় ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার প্রধান ভি জি সোমানি এক চিঠিতে লিখেছেন, বিষয়টি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদেশি ভ্যাকসিনের নিজের দেশের স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন থাকলেই হবে। উল্লেখ্য, ফাইজারের ভ্যাকসিন চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এটি হবে স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের পর দ্বিতীয় বিদেশি ভ্যাকসিন যা ভারতে ব্যবহৃত হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেকের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণ। প্রথম দিনেই বিপুল সাড়া পাওয়া যায়। দেশজুড়ে ৮০ লক্ষেরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সারা দেশে ৬৯ লক্ষেরও বেশি মানুষকে প্রথম দিনে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু গতকাল তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
টিকাকরণের এই হার দেখে খুশি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ট্যুইট, ‘টিকাকরণের রেকর্ড ভেঙে যেতে দেখে আনন্দ হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাকসিনই আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। যাঁরা ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁদের অভিনন্দন। এত নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রথমসারির যে যোদ্ধারা কঠোর পরিশ্রম করছেন, তাঁদের কুর্ণিশ জানাই। ওয়েল ডান ইন্ডিয়া!’