নয়াদিল্লি: বেঙ্গালুরু থেকে বিমানে শ্রীনগরে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে কনভালেসেন্ট প্লাজমা দেওয়া হল সেখানকার দুজন কোভিড-১৯ রোগীকে। প্রথম বেঙ্গালুরু থেকে নয়াদিল্লিগামী যাত্রী বিমানে পণ্য হিসাবে প্লাজমা গেল দিল্লিতে। সেখান থেকে তুলে দেওয়া হল শ্রীনগরগামী কানেক্টিং ফ্লাইটে। দিল্লিতে নামানো, তোলার সময়টুকু ধরে গোটা প্রক্রিয়ায় সময় লাগল ৮ ঘন্টা।
শ্রীনগরের চেস্ট ডিসিজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ৬১ বছর বয়সি এক বৃদ্ধা ও সেখানকারই শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসের ৬২ বছরের এক পুরুষ রোগীকে ওই প্লাজমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুর এইচসিজি হাসপাতালের ট্রান্সন্য়াশনাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান। ওই হাসপাতালেই সংরক্ষিত ছিল তা। এইচসিজি হাসপাতালের ওই চিকিত্সক বলেন, শ্রীনগরেই একজনের খোঁজ মিলেছিল, যার প্লাজমায় কাজ হত। কিন্তু অ্যান্টিবডি টাইটার্স সময় নেয়, তাছাড়া দাতাদের নিজ নিজ গ্রাম থেকে নিয়ে আসার ব্য়বস্থা করতে হত। তাই হাতে সময় রাখার জন্য় প্লাজমা বিমানে উড়িয়ে আনা হয়। মঙ্গলবার বেলা তিনটেয় বৃদ্ধাকে প্লাজমা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি সঙ্কটজনক। আরেকজন রোগী ভাল সাড়া দিচ্ছেন। প্লাজমা নিয়ে আসার জন্য সামান্য অর্থ চার্জ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সামান্য মাত্রায়, গুরুতর ও অতি সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে, যাতে যথাক্রমে ১০০, ৮০ ও ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ফল পাওয়া যেতে পারে। আগাম প্লাজমা থেরাপি চিকিত্সা করা হলে অনেক বেশি জীবন বাঁচানো সম্ভব বলে তাদের অভিমত।
ইন্ডিগোর জনৈক মুখপাত্র বলেন, যাত্রীবাহী বিমানে ওই প্লাজমা পাঠানো হয়েছে। ক্য়াপ্টেন রাহুল শ্রীবাস্তব সেটি পাঠানোর ব্য়াপারে ডাক্তার ও ইন্ডিগোর মধ্যে সেতু হিসাবে কাজ করেছেন। যদিও সেটি বহন করে নিয়ে যাওয়া বিমানের চালক ছিলেন না। প্লাজমা ইউনিট বিনা অর্থেই পাঠানো হয়।