নয়া দিল্লি : প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, তাঁর লেখনী ছিল বহুমুখী এবং পরিবেশের প্রতি দারুণ সংবেদনশীল। ট্যুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, বুদ্ধদেব গুহর লেখাগুলি ছিল বহুমুখী এবং পরিবেশের প্রতি দারুণ সংবেদনশীলতার প্রদর্শন। তাঁর কাজ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ উপভোগ করেছে, বিশেষ করে তরুণরা। তাঁর চলে যাওয়া সাহিত্য জগতের বড় ক্ষতি। তাঁর পরিবার এবং পাঠকদের প্রতি সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।


রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও সাহিত্যিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। রাজভবনের তরফে ট্যুইট করে লেখা হয়েছে, প্রখ্যাত বাঙালি লেখক বুদ্ধদেব গুহের মৃত্যুতে শোকাহত। 'মাধুকরী'-র মতো অনেক উল্লেখযোগ্য কাজের লেখক ছিলেন তিনি। তাঁর কথাসাহিত্যগুলি পূর্ব ভারতের প্রকৃতি এবং জঙ্গলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তুলে ধরে। তাঁর আত্মার চিরশান্তির জন্য সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করি।


শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, বিশিষ্ট লেখক বুদ্ধদেব গুহের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। গতকাল রাতে কলকাতায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর ৮৫ বছর বয়স হয়েছিল। বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক বুদ্ধদেব গুহ কোয়েল, কোজাগর, মাধুকরী, জঙ্গলমহল-এর মতো উল্লেখযোগ্য বই লিখেছেন। তিনি বাংলা সাহিত্যের দুটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্রের স্রষ্টাও - রিভু এবং ঋজুদা।


প্রসঙ্গত, গতকাল রাত ১১ টা ২৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রখ্যাত সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহর। ১৯৩৬ সালের ২৯ জুন কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন বুদ্ধদেববাবু। তাঁর মৃত্যুতে সাহিত্য মহলে শোকের ছায়া নেমেছে। বহু কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা তিনি। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইগুলি হল  'বাবলি', 'মাধুকরী', 'কোজাগর', 'হলুদ বসন্ত', 'একটু উষ্ণতার জন্য','কুমুদিনী', খেলা যখন, ঋজুদা , জঙ্গলমহল,  চানঘরে গান প্রভৃতি । হলুদ বসন্ত উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে পান আনন্দ পুরস্কার। 


গত এপ্রিল মাসেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু আশঙ্কা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিলেন বাড়িতে। রবিবার আর শেষরক্ষা হল না। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ।