নয়াদিল্লি : বারবার বিরোধীরা দাবি জানিয়েছেন। এদিনও কিছুক্ষণ আগেই 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে লোকসভায় বক্তব্য রাখতে উঠে বিরোধী দলনেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে মিথ্যুক বলুন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের সেই দাবির প্রেক্ষিতে লোকসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী বলে দিলেন, "বিশ্বের কোনও নেতা ভারতকে অপারেশন রুখতে বলেননি।" তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে NDA সাংসদরা তাতে টেবিল চাপড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। PM Modi on Operation Sindoor

Continues below advertisement

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত 'অপারেশন সিঁদুর' চালায়। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুড়িয়ে দেয় ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। এরপর পাকিস্তানের তরফে ভারতের আকাশে একের পর এক ড্রোন পাঠানো হয়। যেসব ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী গুলি করে মাটিতে নামায়। সীমান্তেও নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা শুরু হয় পাকিস্তানের দিক থেকে। তারও জবাব দেয় ভারতের বাহিনী। এই আবহে উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। যুদ্ধ শুরু হলে জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করতে হবে, সাধারণ নাগরিকদের সেই প্রশিক্ষণও দেওয়া শুরু হয়ে যায় ভারতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে মক ড্রিল। উভয় দেশের মধ্যে চরম পর্যায়ে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আবহেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আচমক ঘোষণা করে দেন, ভারত ও পাকিস্তান তাদের মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে। উভয় দেশের তরফে এনিয়ে সরকারিভাবে ঘোষণার আগেই ট্রাম্পের তরফে আগ বাড়িয়ে এভাবে ঘোষণা ভালোভাবে নেওয়া হয়নি। এনিয়ে সুর চড়ায় বিরোধীরা। ট্রাম্পের দাবি কেন প্রধানমন্ত্রী নস্যাৎ করছেন না, তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। যদিও কেন্দ্রের তরফে এর আগে বারবার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, উভয় দেশের DGMO পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমেই সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। তারপরেও বিরোধীরা বারবার এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবৃতি দাবি করছিলেন। 

এই আবহে এদিন লোকসভায় অপারেশন সিঁদুর সংক্রান্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখতে উঠতে প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলে দিলেন, "৯ তারিখ রাতে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। উনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করতে থাকেন। আমার তখন সেনার সঙ্গে মিটিং চলছিল। তাই আমি তাঁর ফোন তুলতে পারিনি। পরে আমি ওঁকে কল ব্যাক করি। আমি বলি, আপনার ৩-৪ বার ফোন এসেছিল। কী বলছেন ? আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আমাকে ফোনে বলেন, পাকিস্তান খুব বড় হামলা করতে চলেছে। আমার যা জবাব ছিল, যাদের বোঝার ক্ষমতা নেই তাঁরা তো বুঝতে পারবেন না। আমার জবাব ছিল, পাকিস্তানের যদি এই ইচ্ছা তাহলে ওদের তার মূল্য চোকাতে হবে। আমি ওঁকে বলি, যদি পাকিস্তান হামলা করে, বড় হামলা করে জবাব দেব। এটা আমার জবাব ছিল। পরে আমি বলি, আমি গুলির জবাব গুলিতে দেব। এটা ৯ তারিখ রাতের কথা। আর আমরা ১০ তারিখ সকালে পাকিস্তানকে সৈন্যশক্তিকে তছনছ করে দিই। এখন পাকিস্তান ভালোভাবে জেনে গেছে, ভারতের জবাব আগের থেকেও আরও জোরাল হয়ে গেছে।"

Continues below advertisement