নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধীকে তীব্র কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সরাসরি নাম না করলেও, কংগ্রেসের 'যুবরাজ' বলে এদিন রাহুলকে কটাক্ষ করেন মোদি। আগেও একাধিক বার রাহুলকে 'যুবরাজ', 'শাহজাদা' বলে উল্লেখ করেন তিনি। এদিন সেই সুরেই কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। 'যুবরাজ'কে 'স্টার্ট-আপ' হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল কংগ্রেস, কিন্তু রাহুল 'নন-স্টার্টার' হয়ে রয়ে গেলেন বলে এদিন দাবি করেন মোদি। (Narendra Modi)
বুধবার রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণে রাহুলকে কটাক্ষ করেন মোদি। নাম না করে তিনি বলেন, "যুবরাজকে স্টার্ট-আপ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নন-স্টার্টার হয়েই রয়ে গেলেন। উনি না কিছু তুলতে পারেন, না কিছু ছুড়তে" 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় যে 'মহব্বত কি দুকান' স্লোগান শুরু করেন রাহুল, সেই নিয়েও এদিন কটাক্ষ করেন মোদি। তাঁর কথায়, "কংগ্রেসের 'দুকান' বন্ধ হওয়ার জোগাড়। বার বার একই পণ্য ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাজারে আনার চেষ্টা চলছে। কিন্তু চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে বার বার।" (Modi on Rahul)
'ভারত জোড়ো যাত্রা'র পর সম্প্রতি 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'য় বেরিয়েছেন রাহুল। কয়েক মাস আগে দিল্লিতে একটি গ্যারাজেও দেখা যায় রাহুলকে। সেখানে মোটর সাইকেল মেরামতকারীদের সঙ্গে কাজ করেন তিনি, তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, "কংগ্রেস সম্প্রতি অটো মেকানিকের কাজ শিখেছে, তাতে জুড়তে শিখেছে তারা। কিন্তু জোটকে জুড়ে রাখার কাজ ভেস্তে গিয়েছে।" I.N.D.I.A জোটের সাম্প্রতিক ডামাডোল নিয়েই এমন মন্তব্য মোদির।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: ‘সংরক্ষণ বিরোধী ছিলেন নেহরু, বাবাসাহেব না থাকলে...’, সংসদে কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদির
এর আগে, সোমবারও রাহুলকে কটাক্ষ করেছিলেন মোদি। লোকসভার ভাষণে সেদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, "একটাই পণ্য বার বার আনা হচ্ছে বাজারে। কংগ্রেসের দোকানে তালা ঝোলার উপক্রম হয়েছে।" এর পর বুধবার রাজ্যসভাতেও রাহুলকে নিশানা করেন মোদি। শুধু রাহুলই নন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এমনকি জওহরলাল নেহরুকেও এদিন আক্রমণ করেন তিনি।
সংরক্ষণের প্রশ্নে এদিন ফের নেহরুকে আক্রমণ করেন মোদি। নেহরু 'সংরক্ষণ বিরোধী' ছিলেন বলে দাবি করেন। এ প্রসঙ্গে নেহরুর লেখা একটি চিঠিও পড়ে শোনান তিনি। মোদির দাবি, নেহরু বরাবর তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিকে সংরক্ষণ দেওয়ার বিরোধী ছিলেন। বাবাসাহেব অম্বেডকর না থাকলে সংরক্ষণ পেতেন না তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ। কংগ্রেসও সেই নীতি নিয়ে চলেছে। কিন্তু বিজেপি সংরক্ষণ দিয়েছে।