আমদাবাদ: সেতু-বিপর্যয়ে (birdge collapse) আহতদের (injured) সঙ্গে হাসপাতালে (civil hospital) দেখা (visit) করলেন প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদি (narendra modi)। পাশে গুজরাতের (gujrat) মুখ্যমন্ত্রী (CM) ভূপেন্দ্র পটেল। কী ভাবে আঘাত লাগল, কতটা জখম হয়েছেন তাঁরা-ঘুরে ঘুরে জানলেন বেশ কয়েকজনের থেকে। কিন্তু মোদিকে সামনে পেয়েও কতটা আশ্বস্ত বোধ করলেন আহতরা? খুব স্পষ্ট নয়। 


মোরবিতে মোদি...
গত রবিবার মোরবিতে যে মর্মান্তিক সেতু বিপর্যয় হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৩৬। মৃতের তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দাও। খোঁজ নেই ১ জনের। সিভিল হাসপাতালে ভর্তি একাধিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের নইম শেখ নামে এক ব্যক্তি। গুজরাত সফররত প্রধানমন্ত্রী আগেই বলেছেন, 'কেভড়িয়ায় থাকলেও মোরবি-র সেতু বিপর্যয়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের কথাই মনে হচ্ছে বার বার।' এদিন প্রথমে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। কী ভাবে মাচ্ছু নদীর উপর ওই সাসপেনশন ব্রিজ ভেঙে পড়ল, সে বিষয় খুঁটিনাটি খোঁজ নেন। তার পরই বিকেলের দিকে তাঁর কনভয় পৌঁছয় সিভিল হাসপাতালে। আহতদের সঙ্গে দেখা করে, তাঁদের চোট-আঘাত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী। জখমদের সঙ্গে কী কথাবার্তা হয়েছে তা সংবাদমাধ্যমকে জানালেন সবিতাবেন। সেতু বিপর্যয়ে তিনিও জখম। 'প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করলেন কেমন আছ, কী ভাবে লাগল। তার পর বললেন, সুস্থ হয়ে যাব। ব্যস এটুকুই কথা।' মিনিটদুয়েক দাঁড়িয়েই পাশের বেডের দিকে চলে যান তিনি। অন্য় কোনও সাহায্যের আশ্বাস? সবিতাবেনের দাবি, 'যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবার বা আমাদের জন্য কোনও সাহায্যের প্রয়োজন আছে কিনা, সে সব জানতে চাননি।'


বিতর্কের কেন্দ্রে...
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সেতু বিপর্যয় ঘিরে ইতিমধ্যেই দোষারোপ, পাল্টা জবাবের পালা শুরু হয়েছে। কিন্তু সূত্রের খবর, যে বেসরকারি ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা, ওরেভা গ্রুপকে (অজন্তা ঘড়ির অভিভাবক সংস্থা) সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের বরাত দেওয়া হয়েছিল, সাত মাস সময় নিয়েও পুরনো কেবল বদলায়নি তারা। বরং জং ধরা সেই কেবলের উপর রং চাপিয়েই খুলে দেওয়া হয় সেতু। সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়নি।গোটা ঘটনায় তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে বড় ধরনের দুর্নীতির যোগ রয়েছে। একটি ঘড়ি নির্মাণকারী সংস্থা, যাদের সেতু তৈরি বা রক্ষণাবেক্ষণের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই, তাদের বরাত দেওয়া হল কেন, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যেই চাপে বিজেপি। 


আরও পড়ুন:ঘর নিয়ে 'দুশ্চিন্তায় মোদি', বাইরে ফুট কাটলেন শান্তনু-সুজনরা