নয়াদিল্লি: জামিয়া মিলিয়ায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী প্রতিবাদী পড়ুয়াদের ওপর গুলিচালনার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর। বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও প্ররোচনামূলক ভাষণের মাধ্যমে লোক খ্যাপানোর অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক। বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিয়া ক্যাম্পাস থেকে রাজঘাট পর্যন্ত জামিয়ার পড়ুয়াদের সিএএ-র নিন্দায় মিছিলের সময় আচমকা এক ব্য়ক্তির বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি, গুলিচালনার পরিপ্রেক্ষিতে মোদি ও শাসক দলকে আক্রমণ করেন তিনি। গুলিতে জামিয়ার এক পড়ুয়া হাতে আঘাত পান।


প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রিয়ঙ্কা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, তিনি হিংসা না অহিংসা, উন্নয়ন না অরাজকতা, অসহিষ্ণুতা, কীসের পক্ষে। বলেন, বিজেপি সরকারের মন্ত্রী, নেতারা যখন মানুষকে গুলি করে মারার নিদান দেবেন, উসকানিমূলক কথাবার্তা বলবেন, তখন এমন ঘটা সম্ভব। কী ধরনের দিল্লি তৈরি করতে চান, জবাব দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে।
সরাসরি না বললেও প্রিয়ঙ্কা ইঙ্গিত করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বিতর্কিত ভাষণের প্রতি যাতে ‘দেশ কে গদ্দারো কো, গোলি মারো শালো কো’ স্লোগান উঠেছে। ঘটনার যে ভিডিও বেরিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, দিল্লিতে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে ভাষণে অনুরাগ দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা লোকজনের সঙ্গে কেমন আচরণ করা উচিত, জিজ্ঞাসা করছেন, জনতা বলছে, গুলি করে মারা হোক। এ নিয়ে তুমুল শোরগোলের জেরে নির্বাচন কমিশন অনুরাগের ওপর ৭২ ঘন্টা ভোটের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আজ।