নয়াদিল্লি: চিন, পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন নরেন্দ্র মোদি। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এ দেওয়া ভাষণে সংগঠনের সব সদস্য দেশেরই পরস্পরের এলাকাগত সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত বলে স্পষ্ট মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সদস্য দেশগুলির সঙ্গে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক আছে। সংযোগ বাড়াতে হলে আমাদের পরস্পরের এলাকাগত ঐক্য, সংহতি, সার্বভৌমত্বকে মর্যাদা দিয়েই এগতে হবে, এটা ভারত বিশ্বাস করে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল, এসসিও-র অ্যাজেন্ডায় দ্বিপাক্ষিক ইস্যু টেনে আনা হচ্ছে, যা এসসিও-র সনদ ও সাংহাই বোঝাপড়ার পরিপন্থী।
গত মে মাসে পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সীমান্ত সংঘাত নিয়ে অচলাবস্থা মাথাচাড়া দেওয়ার পর থেকে আজই প্রথম ভার্চুয়ালি চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে এসসিও মঞ্চে দেখা হল মোদির। ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও।
নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চলতি বছর ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ ও নিরাপত্তাবিধি বহাল থাকার ফলে এসসিও সামিট ভার্চুয়ালি হচ্ছে। এবারের সম্মেলনে করোনা অতিমারীর ফলে উদ্ভূত বেহাল আর্থিক দশা ও সন্ত্রাসবাদের ক্রমবর্ধমান বিপদ সর্বাধিক গুরুত্ব পেতে চলেছে। বিদেশমন্ত্রক প্রকাশিত আগের এক বিবৃতি অনুসারে এবারের সম্মেলনে উগ্র মৌলবাদ ছড়ানোয় ইন্টারনেটের ব্যবহার সহ সন্ত্রাসবাদ ও বাণিজ্য, অর্থনীতি সংক্রান্ত ইস্যুর মোকাবিলারই অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা।
বেজিং কেন্দ্রিক মঞ্চ এসসিও-কে ন্য়াটোর পাল্টা হিসাবে দেখা হয়। আট সদস্য দেশের এই মঞ্চে ভারত ও পাকিস্তান স্থায়ী সদস্য হিসাবে ঢুকেছে ২০১৭ সালে। যদিও তার সঙ্গে ভারতের যোগসূত্রের সূচনা ২০০৫ সালে, যখন তাকে অবজারভার বা পর্যবেক্ষক দেশের মর্যাদা দেওয়া হয়।