আগরতলায় গ্রেফতার সায়নী ঘোষ। কাল ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় হামলার প্রতিবাদে, কাল দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন তৃণমূল সাংসদরা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সময় চেয়েছে তৃণমূল। পাল্টা, নাটক বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


পুরভোটের মুখে রণক্ষেত্র ত্রিপুরা। দফায় দফায় অশান্তি। গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলা নিয়েও অশান্ত হয়েছে। ত্রিপুরার রাজনীতির এই উত্তাপ পৌঁছল দেশের রাজধানীতে। ত্রিপুরায় হামলার প্রতিবাদে সোমবার দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন তৃণমূল সাংসদরা।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সময় চাইল তৃণমূল। সোমবার আগরতলা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি ঘিরে দিনভর চাপানউতোর চলছিল। সন্ধেয়, যখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা থানা থেকে বেরোচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ফের হামলার অভিযোগ। 


 


লাঠি নিয়ে হামলা চালায়, হেলমেট ও মাস্কে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা। থানার গেট ঠেলে ভিতরে ঢুকে আসে তারা। মুহূর্মুহু ইটবৃষ্টি হয়। আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও। মহিলা পুলিশ কর্মীরা কোনওক্রমে থানার গেট আটকে দেন। থানার ভিতরে আশ্রয় নেন তৃণমূল নেতারা। 


আরও পড়ুন, খুনের চেষ্টার অভিযোগে আগরতলায় গ্রেফতার সায়নী ঘোষ







তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, "আমরা জীবন-মরণ সমস্যার মধ্যে আছি, জোরে কথা বলতে পারছি না। গোটা থানা ঘিরে তাণ্ডব চলছে। এক সাংবাদিক রক্তাক্ত। এরা আমাদের মেরে ফেলবে...বাইরে তাণ্ডব চলছে।" এই ঘটনার পরে সায়নী ঘোষকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা থেকে অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়।


ত্রিপুরায় হামলার নিন্দা করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইটারে লেখেন, বিপ্লব দেব সরকার এতটাই নির্লজ্জ যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও আমল দিচ্ছে না।
নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত না করে, বারবার দুষ্কৃতী পাঠিয়ে আমাদের কর্মী এমনকী মহিলা প্রার্থীদের ওপর হামলা করাচ্ছে। ত্রিপুরায় গণতন্ত্রকে হাস্যকর পর্যায়ে নিয়ে গেছে বিজেপি।


রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা যাওয়ার কথা থাকলেও, বিমান অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাই সোমবার, ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় হামলার প্রতিবাদে, সোমবার সকালে দিল্লিতে ধর্নায় বসবেন তৃণমূলের সাংসদরা।