নয়াদিল্লি: বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির (Mukhtar Abbas Naqvi) ইস্তফার পরই রাজ্যসভা (Rajya Sabha) এবং লোকসভায় (Loksabha) বিজেপি (BJP)-র মুসলিম (Muslim) সদস্য সংখ্যা শূন্যে গিয়ে ঠেকল। প্রসঙ্গত, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ৩৯৫। লোকসভায় আগেই মুসলিম সাংসদ শূন্যে গিয়ে ঠেকেছিল। এবার আব্বাস নকভি ইস্তফা দেওয়ায় রাজ্যসভাতেও আর এক জনও মুসলিম সাংসদ নেই বিজেপি-র।
রাজ্যসভায় বিজেপি-র মুসলিম মুখ বলতে ছিলেন মুখতার আব্বাস নকভি, সৈয়দ জাফর ইসলাম এবং এমজে আকবর। গত ১০ জুন রাজ্যসভার ৫৭ আসনে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে কোনো মুসলিম মুখ ছিলেন না। সবমিলিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে কোনো মুসলিম প্রতিনিধি রইল না বিজেপির। এদিকে, কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী নকভির রাজ্যসভার সাংসদপদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। তার আগেই আগেই তিনি ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, উপরাষ্ট্রপতি উপনির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি।
এর আগে, সৈয়দ জাফর ইসলামের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৪ জুলাই এবং এম জে আকবরের ২৯ জুন। রাজনৈতিক মহলের মতে, অন্য কোনওভাবে সংসদের উচ্চকক্ষে কোনো মুসলিম নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি। কারণ সংসদে মুসলিমদের পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রতিনিধি না রাখায় বিজেপি-র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন, নকভির জায়গায় স্মৃতি, পেলেন সংখ্যালঘু মন্ত্রকের বাড়তি দায়িত্ব, সিন্ধিয়ার হাতে ইস্পাত
যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, দলের সাংসদরা সমস্ত সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করেন। তাঁরা নির্দিষ্ট কোনো ধর্মের প্রতিনিধি নন। আব্বাস নকভি নিজে তিনবারের রাজ্যসভা সাংসদ। এক বার জয়ী হয়েছিলেন লোকসভায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ছ’জন মুসলিম প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছিল। কিন্তু তাঁদের প্রত্যেকেই হেরে যান।
এদিকে, মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নকভি বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে দুই নেতা কী এবং কী বিষয়ে কথা বলেছেন সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর ওই বৈঠকে নকভির ভবিষ্যতের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।