কলকাতা : "আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।"  বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের ট্যুইট ঘিরে জল্পনা। কী পদক্ষেপ নিতে চলেছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।


"কারুর কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার জন্য আমি ট্যুইটগুলো করছিলাম না। দলের কিছু নেতৃস্থানীয় লোক যেভাবে কামিনী-কাঞ্চনে গা ভাসিয়েছিলেন, সেটা সম্বন্ধে দলকে সজাগ করার জন্য করেছিলাম। এবার ফলেন পরিচিয়তে। পুরভোটের ফলের জন্য প্রতীক্ষায় থাকব। আপাতত বিদায়, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি।" ট্যুইটার লেখেন তথাগত রায়।


দল অস্বস্তিতে পড়ুক কিংবা তাঁর যতই সমালোচনা হোক না কেন, তথাগত রায় যে তাঁর এই অভিযোগ থেকে বিন্দুমাত্র সরতে নারাজ, তা স্পষ্ট করে দিয়ে বৃহস্পতিবারও ট্যুইটার করেছিলেন তথাগত রায়।


ট্যুইটারে তিনি লেখেন, "বিজেপির শুভানুধ্যায়ীরা বলছেন, টাকা ও নারী নিয়ে আমার অভিযোগ প্রকাশ্যে নয়, দলের ভিতরে করা উচিত। আমি সবিনয়ে জানাই, সে সময় পেরিয়ে গেছে। বিজেপি আমাকে যা ইচ্ছে তাই করতে পারে। কিন্তু নিজেদের চালচলন যদি আমূল সংস্কার না করে তা হলে পশ্চিমবঙ্গে দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী।"


পরে বোমা ফাটিয়ে বলেন, এখনও যেটা বলছি, সেটা হল--- নির্বাচনের টিকিট বিতরণের ব্যাপারে অর্থ এবং নারী একটা বড় ভূমিকা পালন করেছে... এটা আমার কাছে নিশ্চিত খবর আছে... সত্য কখনও চাপা থাকে না। 


বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায় ২০০২ থেকে ২০০৬ অবধি রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন। বিজেপির উচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি অর্থাৎ বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতির ১৩ বছরের সদস্য। ত্রিপুরা...মেঘালয়...অরুণাচল প্রদেশের মত রাজ্যে তাঁকে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছিল মোদি সরকার। বিজেপির এহেন গুরুত্বপূর্ণ ও বর্ষীয়ান নেতা, লাগাতার বিধানসভা ভোটের টিকিট বণ্টনে নারী ও অর্থের ভূমিকার অভিযোগ করে চলেন ! আর বিজেপির নেতৃত্ব প্রকাশ্যে তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নিচ্ছে না।