কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: ধর্মীয় মেরুকরণ, বিভাজনের রাজনীতির প্রতিবাদ করেছিলাম বিজেপিতে (BJP) থাকাকালীন। রাজ্য বিজেপির এক নেতার সঙ্গে অন্যের সম্পর্ক নেই। কীভাবে কাজ করব? এঁরা শুধু ভাষণবাজিতে বিশ্বাসী। আগামী দিনে বঙ্গ বিজেপি সাইনবোর্ড হয়ে যাবে, আগরতলা (Agartala) থেকে কলকাতায় (Kolkata) ফিরে হুঁশিয়ারি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee)।


দলত্যাগের ৯ মাস পর গতকাল তৃণমূলে ফিরেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘর ওয়াপসি রাজীবের। আর এদিন কলকাতায় ফিরে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “বিজেপি নেতাদের একাধিকবার বলেছিলাম পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম যে জায়গায় পৌঁছেছে তা কমানো না হলে বাংলার ভোটে প্রভাব পড়বে। বারবার বলে হয়েছিল এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। কিন্তু তার সমাধান ভোট পর্যন্ত হয়নি। ধর্মীয় মেরুকরণ, বিভাজন, বিভেদের রাজনীতির প্রতিবাদ করেছিলাম। ধমক দিয়ে বলা হয়েছিল এটাই আসল লাইন। এটা মেনে চললেই বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। বঙ্গ বিজেপির কারোর সঙ্গে কারোর মিল নেই। কেউ কারোর খোঁজ রাখে না। এটা সংগঠন করতে না ভাষণ দিতে জানে। শুধু মানুষকে আঘাত করতে জানে। মানুষের জন্য কাজ করতে হবে, মানুষের কথা বলতে হবে এমন কোনও কাজ খুঁজে পাইনি। সংগঠনে স জানে না। সং-টা আছে গঠন নেই।’’ 


আরও পড়ুন: Dilip ghosh: 'ভরসা করে ভুল হয়েছিল', রাজীবের দলত্যাগে বিস্ফোরক দিলীপ


গতকাল তৃণমূলে যোগ দিয়ে রাজীব বলেন “আমি লজ্জিত, স্বীকার করছি ভুল করেছিলাম। জেদের বশে, রাগের বশে ভুল করেছিলাম। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে আমাকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, বাংলার উন্নয়ন শুধু বিজেপি করতে পারে। আর যেন কেউ বিজেপির কথায় প্রভাবিত না হয়।'' আর রাজীবের বিজেপি ত্যাগের পরই তাঁকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "নো এন্ট্রি গেট সরিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। কিছু দালাল ভোটের আগে ঢুকে গিয়েছিল। কিছু থেকে গিয়েছে, কিছু চলে যাচ্ছে।'' এর পাল্টা রাজীব বলেন, "ওঁর কথাতেই সবথেকে বেশি ড্যামেজ হয়েছে। এই বঙ্গ বিজেপির বর্তমান এবং আগের কয়েকজন নেতা তাঁরা যে ভাষায় কথায় বলেছেন তাতে মানুষ ভালভাবে নেয়নি।''


এদিকে রাজীবের তৃণমূলে যোগ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) বলেন, "আমি জানি না কেন টপ টু বটম একজন দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে দলে যোগদান করানো হল ?" এবিষয়ে রাজীবের বক্তব্য, যখন দল ছেড়ে দিই তখন তিনি না করেছিলেন, আমি তাঁর কথা শুনিনি। স্বাভাবিকভাবে দুঃখ থেকেই এই কথা বলেছেন। আমাদের দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক।