রঞ্জিৎ সাউ, নিউটাউন: বাংলা থেকে নেতা, মিডিয়ার লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মনে হয় ওখানকার লোকজন পছন্দ করছে না। ত্রিপুরায় সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি-সিপিএম সংঘর্ষে বুধবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। পরপর সিপিএমের পার্টি অফিসে আগুন, ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। সিপিএমের এই পার্টি অফিসের পাশেই একটি সংবাদপত্রের অফিসেও হামলা চালানো হয়।
সেই খবর পেয়ে সংবাদপত্রের অফিসে যান ত্রিপুরা সফররত পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্তরা। এরপর পাশেই সিপিএমের পার্টি অফিসে গিয়ে মানিক সরকারের সঙ্গে দেখা করেন যুব তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা।
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমনে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি জানান, বাংলা থেকে নেতা, মিডিয়ার লোকজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মনে হয় ওখানকার লোকজন পছন্দ করছে না।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, জানি না কোন মিডিয়ার ওপর আক্রমণ হয়েছে। এখান থেকে নেতা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এখান থেকে মিডিয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখান থেকে লোক নিয়ে গিয়ে জয়েনিং করানো হচ্ছে। ওখানে উৎপাত করা হচ্ছে। আমার মনে হয় সেখানকার লোকজন এটা পছন্দ করছে না।
ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবের দুয়ারে গুন্ডা প্রকল্প চলে বলে গতকালের ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের তরফে আক্রমণ করা হয়। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আপনারা আগে পশ্চিম বাংলায় গুন্ডারাজ হঠান তারপর ত্রিপুরা যাবেন।
এর আগে ত্রিপুরায় বেশ কয়েকবার হামলার মুখে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতেও লাঠির বাড়ি মারা হয়েছিল।
যা নিয়ে এদিনও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, একটা লোককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, ত্রিপুরায় একটার পর একটা কর্মীকে রক্তাক্ত করেছে, ব্রাত্য-কুণাল-জয়ী-সুদীপরা কেন যাবে? তাই ওদের ধরে ধরে মারো, গ্রেফতার করো, মনে আছে এনআরসি-র সময় ৫জনকে পাঠিয়েছিলাম, এয়ারপোর্ট থেকে বেরতেই দেওয়া হয়নি। হাথরসে ঢুকতে দিল না।
পাল্টা জবাব দেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, চোখ বন্ধ কেন, ভাইপোকে সরকার বুলেটপ্রুফ গাড়ি দিয়েছিল ঘোরার জন্য, থানায় গিয়ে বসে ছিল। ওসিকে গিয়ে চমকালেন। এখানে কী আমরা করি? উনি এখানে ঢুকতে দেন না, যোগীর হেলিকপ্টার নামতে দেননি, ওসব ওনাদের কালচার, আমাদের নেই।