সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: উত্তরপাড়া থেকে বৈদ্যবাটি, নিজের খাসতালুকে অস্বস্তির মুখে পড়লেন তৃণমূলের ডাকাবুকো সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈদ্যবাটিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখাল বিজেপি। উত্তরপাড়ায় কল্যাণের ফ্লেক্সে লাগানো হল কালি। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্লোগানও ওঠে। অভিযুক্ত এক বিজেপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। যদিও বিজেপির দাবি সীতাকে অপমান করার প্রতিবাদ জানানো হয়। তবে কালির ঘটনায় দল জড়িত নয় বলেই জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।


উত্তরপাড়ায় তৃণমূলের ব্যানারে কালি ঘিরেও বেঁধেছে বিতর্ক। ব্যানারে একাধিক নেতা-নেত্রীর ছবি থাকলেও, শুধুমাত্র সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় মুখে কালি লেপে দেওয়া হয়। নিজের লোকসভা কেন্দ্রে একের পর এক ঘটনায় বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূল সাংসদ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘যারা কালো পতাকা দেখিয়েছিল তাদের অনেকেই মাতাল, এটাই বিজেপির সংস্কৃতি, কালি মাখানোর রাজনীতি করি না, আমরা যদি মনে করি তাহলে কর্মীরা এসব করতে পারে কিন্তু আমরা এসব বিশ্বাস করে না।’

গত সপ্তাহে ব্যারাকপুরের সভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। তিনি সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘সীতাকে নিয়ে একটা জোক বলব, সীতা রামকে বলেন ভাগ্যিস রাবণ অপহরণ করেছিল, হনুমানের দল অপরহণ করলে আমার হাথরসের মেয়ের মতো অবস্থা হত।’

সীতাকে নিয়ে তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের জেরে কালো পতাকা বলে জানিয়েছে বিজেপি। হুগলি জেলার বিজেপি সভাপতি শ্যামল বসু বলেছেন, ‘সীতামাকে খারাপ কথা বলার জন্য বিজেপির তরফ থেকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে, উত্তরপাড়ায় ব্যানারে কালির ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয়, সাধারণ মানুষই এই কাজ করেছে।’

গত লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুর কেন্দ্রে ৯৮ হাজার ৩৫৬ ভোটে জয়ী হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লোকসভার অন্তর্গত ৬টি কেন্দ্রে তৃণমূল এগিয়েছিল, একটিতে লিড পায় বিজেপি। গত কয়েকদিনে একাধিক ইস্যুতে বিজেপির সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শ্রীরামপুর সাংসদকে আটকানোর ঘটনায় উত্তেজনা বাড়ছে হুগলিতে।