সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা: তৃণমূলের হামলা এড়াতেই গোপনে প্রচার করছেন প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল, ভবানীপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার নিয়ে দাবি দিলীপ ঘোষের। এদিন ভবানীপুরে চা-চক্রে যোগ দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। সেখানেই এই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।


শুক্রবার প্রচার করতে দেখা যায়নি প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালকে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে অবাঙালি ও হিন্দিভাষী ভোটারদের আবাসনে গিয়ে হুমকি দিয়েছিল তৃণমূল। এবার হামলা এড়াতেই বিজেপি সাধারণ মানুষের মধ্যে গোপনে প্রচার চালাচ্ছে বলে তাঁর দাবি। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 


দিলীপ ঘোষের কথায়, "গোপনে প্রচার মানে কর্মীদের বাড়ি যাওয়া, কোনও কোনও কম্পাউন্ডে গিয়ে দেখা করা, কথা বলা। সাংবাদিকরা জানলে পুলিশ আসে, অন্যান্যরাও চলে যায়। তৃণমূল গিয়েও হুমকি দেয়। ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। আমরাও রণনীতি নিয়েছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটের আবেদন করা হচ্ছে তাই। অবাঙালিরা ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। আমরা গেলে আবারও তাঁদের হুমকির মধ্যে পড়তে হতে পারে।" 


আরও পড়ুন, রহস্যমৃত্যু! স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার মহিলা চিকিৎসকের পচাগলা দেহ


অন্যদিকে, অভিষেক-রুজিরাকে ইডি দফতরে তলব প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, "আমাদের নেতাদেরও তো গুজরাত থেকে মুম্বইতে ডেকেছে। তাঁরা সোনার মতো চকচকে হয়ে বেরিয়ে এসেছেন। সিবিআই যেখানে নিরাপদ সেখানে ডাকবে। এখানে ডাকলে তো ওরা ঘেরাও করবে, ঢিল মারবে, মুখ্যমন্ত্রী ধর্না দেবেন।" কয়লাকাণ্ডে এভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ইডি-র তলব প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষের। 


প্রসঙ্গত, ইডির সমনের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লাকাণ্ডে আগেও অভিষেক-রুজিরাকে সমন পাঠায় ইডি। ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ দেখিয়ে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়েছিল। ইডির আধিকারিকদের কাছে কলকাতায় জিজ্ঞাবাদের আবেদন করেন রুজিরা। তারপরই ২১ সেপ্টেম্বর দিল্লির সদর দফতরে অভিষেককে ফের তলব করে ইডি।