আশাবুল হোসেন, দীপক ঘোষ ও অনির্বাণ বাগচী: দলের নেতা-নেত্রী থেকে সাধারণ মানুষ তাঁকে উপমায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। এবার নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মালদার নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে সিএএ, এনআরসি ইস্য়ুতে সুর চড়াতে গিয়ে নিজেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনা করেন তৃণমূলনেত্রী।  সিএএ, এনআরসি করতে দেবেন না বলে ফের হুঙ্কারও দেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করেছে সিপিএম-ও। (Lok Sabha Elections 2024)


মালদার গাজোলে শনিবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সিএএ-এনআরসি ইস্য়ুতে ফের সুর চড়ান মমতা। নির্বাচনী সভা থেকে নিজেকে রয়্য়াল বেঙ্গল টাইগারের সঙ্গে তুলনা করেন নিজেই। মমতা বলেন, "এখানে সিএএ, এনআরসি করতে দেব না। ওদের একটাই নেতা, একটাই সংস্কৃতি চালু করতে চাইছে। কে কী খাবে, পরবে, সেটাও ঠিক করে দিতে চাইছে। বাংলায় কিছু করতে পারছে না কারণ এখানে আপনাদের সুরক্ষায় আমি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছি।" 


মমতার এই মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর বক্তব্য, "বিজেপি ক্ষমতায় এলে মমতাকে মিথ্যাশ্রী পুরস্কার দেবে। উনি এখন বলছেন এনআরসি, সিএএ করতে দেব না। তুমি কে হরিদাস পাল? সংবিধান পাল্টাবে?" মমতাকে কটাক্ষ করেন সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তাঁর বক্তব্য, "বাংলার মানুষকে যখন ভয় দেখান, তখন রয়্যাল টাইগারের ভাব দেখান। আর যখন ভাইপোকে বাঁচাতে হয়, RSS-এর কাছে ভিজে বেড়াল হয়ে যান।"


আরও পড়ুন: Mamata on Doordarshan Logo: নির্বাচনী মরশুমে দূরদর্শনের গৈরিকীকরণ, কমিশন কী করছে? প্রশ্ন তুললেন মমতা


গাজোলের সভা থেকে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নিয়েও বিজেপি-কে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি জানান, তিন মাস পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। কিন্তু যতই হুমকি-হুঁশিয়ারি দিক বিজেপি, বাংলায় তাঁর সরকারের একটি প্রকল্পও বন্ধ হবে না, সব চলবে বলে জানান মমতা। যদিও শুভেন্দুর বক্তব্য, "ওটা কি ওদের পৈতৃক সম্পত্তি? আমরা ক্ষমতায় এলে ৩০০০ টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেব।"


বিজেপি-র সঙ্গে এক আসনে বসিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিএম-কেও আক্রমণ করেন মমতা। তাঁর দাবি, বাংলায় "কংগ্রেস-সিপিএম-বিজেপি ভাই ভাই। আমরা একা লড়ছি। কিন্তু দিল্লিতে I.N.D.I.A-কে সমর্থন করে।" মহুয়া মৈত্রকে সংসদ থেকে বহিষ্কার, ১০০ দিনের টাকার দাবিতে দিল্লিতে আন্দোলন করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেও এদিন মনে করান মমতা।