আশাবুল হোসেন ও সুমন ঘড়াই, কলকাতা: পুজো মিটতেই পাহাড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনদিনের সফরে শিলিগুড়ি, কার্শিয়ং প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে তাঁর। ত্রিপুরার পাশাপাশি তৃণমূলের টার্গেট গোয়া। বাগডোগরা থেকেই চারদিনের জন্য গোয়া যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ত্রিপুরার পর তৃণমূলের নজরে গোয়া। ৩ দিনের পাহাড় সফর সেরে গোয়ায় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার থেকে অতিবৃষ্টির জেরে দার্জিলিং, কালিম্পঙের বিস্তীর্ণ এলাকায় নেমেছে ধস। বারবার সমতলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে পাহাড়। এই প্রেক্ষাপটে পুজো শেষ হতেই পাহাড় সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর উত্তরবঙ্গ সফর।                 

  


ওইদিন, শিলিগুড়ির কমিশনার মাঠে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পরের দিন, উত্তরকন্যা থেকে ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক বৈঠক করবেন।  মঙ্গলবার তিনি যাবেন কার্শিয়ঙে।বুধবার কার্শিয়ঙের টাউন হলে ভার্চুয়ালি প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।                      


ধস বিধ্বস্ত এলাকাতেও যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক সফর সেরে বাগডোগরায় ফিরে, সেখান থেকেই গোয়ায় উড়ে যাবেন তৃণমূলনেত্রী।গোয়ায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বছর ঘুরলেই উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, মণিপুরের সঙ্গে গোয়ায় ভোট। গোয়াকে পাখির চোখ করে, ভোটের কয়েক মাস আগে থেকে, তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা কাজ করছে সেখানে।       


এরই মধ্যে, তৃণমূলে যোগ দেন গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী, AICC-র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক লুইজিনহো ফালেইরো। দলের সংগঠন ও শক্তিবৃদ্ধির জন্য, তৃণমূলের সাংসদ, নেতারা নিয়মিত যাচ্ছেন গোয়ায়। এবার খোদ দলনেত্রী প্রথমবার যাচ্ছেন পশ্চিমের রাজ্যে। ২৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ায় থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিশাসিত গোয়ায়, তৃণমূলের এই সক্রিয়তা ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব ফেলে তা নিয়ে বাড়ছে কৌতূহল।