নয়াদিল্লি : 'রাজনীতিতে এক সপ্তাহ বেশ লম্বা সময়'। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হারল্ড উইলসনের (Harold Wilson) বিখ্যাত উক্তিটি এখনও একই রকমের প্রাসঙ্গিক। সেই ভিত্তিতে মাস চারেক কার্যত এক আলোকবর্ষের কাছাকাছি। দেশীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে কংগ্রেস (Congress)-তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যা উজ্জ্বল এক নিদর্শন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কার্যত শ্লেষের সুর ছুড়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) সম্পর্কে। কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতির প্রশ্ন সম্পর্কে মতামত জানতে চাওয়া হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সবার প্রশ্নের উত্তর দেব না, আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্টের থেকে জেনে নেবেন।'


এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর যখন কেন্দ্রের হাত ধরে উন্নয়ন পথে হাঁটার বার্তা দিয়ে আসন্ন শিল্প সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বোধনের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, তখন সেই পদক্ষেপ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও কড়া সুরে পাল্টা বলেছেন, 'দিদি আসলে মোদিকে ডাকছেন ভাইফোঁটা দিতে। কারণ নিয়তি এটাই যে দিদিকে বাঁচতে হলে মোদির দালালি করতে হবে। বাংলার বিপ্লবী দিদি আজ মোদির দালাল।'



মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিল্লি সফর মানেই একসময় ছিল কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী (Sonia Gandhi) সঙ্গে সাক্ষাৎ। গত জুলাইয়ের শেষেও বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি করার ভিত্তিতে সনিয়া-রাহুলের সঙ্গে বৈঠক সারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দেশে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরি কথাবার্তাও এগোয় তাঁদের মধ্যে। কিন্তু মাঝে গঙ্গা দিয়ে গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। ক্রমশ ত্রিপুরা, গোয়া সহ দেশের একাধিক প্রান্তে শক্তি বাড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন একাধিক কংগ্রেস নেতা। এই সময় রাজ্য থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত বক্তব্য রাখার মাঝে কংগ্রেসকে একাধিকবার সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছি, উনি গ্রহণ করেছেন, বৈঠক শেষে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী