উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়,কলকাতা: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) বড় ভাই বলে নতুন বিতর্কে জড়ালেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধু (Navjot Singh Sidhu)। কর্তারপুর সাহিব পরিদর্শনের সময় সিধুর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমেছে বিজেপি (BJP)। পাল্টা সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও (Congress)। 


কৃষি আইন (Farm Law) প্রত্যাহার নিয়ে দেশজুড়ে হইচইয়ের মধ্যেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধু। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বড় ভাই বলে সম্বোধন সিধুর। কৃষি আইন অস্বস্তির মধ্যেই বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র। ফের পাকিস্তান ইস্যুতে কংগ্রেসকে নিশানা বিজেপির। শনিবার পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহিবে যান পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধু। পাকিস্তানের এক সরকারি আধিকারিক তাঁকে স্বাগত জানান। সেই সময় কথায় কথায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বড় ভাই বলে সম্বোধন করেন সিধু।


বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, "সিধু এই মন্তব্য করেছেন রাহুলের কথায়, প্রিয়ঙ্কা সিধুকে ভাই মানেন, আর সিধু ইমরানকে ভাই মনে করেন, তাহলে প্রিয়ঙ্কাও কি ইমরানকে নিজের ভাই মনে করেন? এটা কোটি কোটি ভারতীয়-র জন্য চিন্তার বিষয়।" অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক পাগলামো। তাই যা পারছে তাই বলছে। না হলে মোদিকে এই ভাবে মাথা নত করতে হয়ে। আসলে প্রিয়াঙ্কাকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি নেতারা। তাই এই আক্রমণ।" 


আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনেও 'না', আন্দোলন চলবে, জানাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা


উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আর পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিংহ সিধু, দু’জনেই একসময় নিজের নিজের দেশের হয়ে ক্রিকেটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথের সময়েও উপস্থিত ছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সিধু। ২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানের শপথের সময়েও উপস্থিত ছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু সিধু।


এই নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, কংগ্রেস-ত্যাগী অমরিন্দর সিংহও সিধু-র পাকিস্তান-প্রীতির অভিযোগে সরব হন। এবার কর্তারপুর সাহিব পরিদর্শন ঘিরে বিতর্ক। ফের বিজেপির নিশানায় কংগ্রেস। যদিও সিধু বলেন, "যে যা ইচ্ছে হয় বলুক, কিছু যায় আসে না।" পঞ্জাবের ক্রীড়ামন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা পারগত সিংহ বলেন, "মোদি যখন পাকিস্তানে যান তখন দেশপ্রেমী আর সিধু গেলে দেশদ্রোহী?"


বছর ঘুরলেই পাঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে একের পর এক বিতর্কের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসকে।