আগরতলা: ফের অশান্ত ত্রিপুরা (Tripura)। এবার আগরতলার (Agartala) ইন্দ্রনগর উত্তপ্ত হল তৃণমূল (TMC)-বিজেপির (BJP) সংঘর্ষে। তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) মঞ্চে বক্তব্য রাখাকালীন বিজেপির মিছিল করা হয়। সেই মিছিল মঞ্চের সামনে এসে পৌঁছতেই দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সিআরপিএফ (CRPF) এবং বিশাল পুলিশ বাহিনী। 


এদিকে, ত্রিপুরায় বারবার আক্রান্ত তৃণমূল। ত্রিপুরার মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিলেন ফিরহাদ হাকিম। নিশানা করলেন বিপ্লব দেবকেও (Biplab Deb)। সোনামুড়ায় দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সভা করেন ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূল কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুলে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল নেতা। ববি হাকিম বলেন, "আমাদের ছেলেদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিচ্ছে, পাঁচ মিনিট লাগে, বিপ্লব দেব কুয়োর ব্যাগ, ভাবে কুয়োটাই পৃথিবী। তুই এখানে আমায় একটা মারলে, আমি ওখানে পাঁচটা মারবো। কিন্তু মমতা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। মানুষের সমর্থন শেষ কথা বলবে, গুন্ডারাজ শেষ কথা বলবে না।" 


ত্রিপুরায় বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)।তাঁকে ধাক্কাধাক্কি করা হয়। আগরতলায় ফিরহাদ হাকিমের সভাতেও উত্তেজনা ছড়ায়। মঞ্চের সামনে মুখোমুখি চলে আসেন তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীরা। তৈরি হয় হাতাহাতির পরিস্থিতি। বিজেপির বিরুদ্ধে, সভাস্থলে ভাঙচুর করে আলো নিভিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধেয়, আগরতলার ইন্দ্রনগরে সভা করছিলেন ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয় ও কুণাল ঘোষরা। মঞ্চে তখন বক্তব্য রাখছিলেন ফিরহাদ হাকিম। সেই সময়, সেখানে আসে বিজেপির একটি প্রচার গাড়ি। বিজেপির প্রচার গাড়ি থেকে বাজানো হয় গান। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।


আরও পড়ুন, প্রধানমন্ত্রীর আবেদনেও 'না', আন্দোলন চলবে, জানাল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "আমাদের অনুমতি নেওয়া সভা, সেখানে চুড়ান্ত অসভ্যতা করে বিজেপির গুন্ডারা। মঞ্চের পাশে গান চালানো হয়। পুলিশ দাঁড়িয়ে দেখে।" এর আগে, শনিবার, আগরতলার রামনগর দিয়ে আসার সময় তৃণমূল নেতা ও গায়ক বাবুল সুপ্রিয় বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তাঁর, গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান হয়। এদিকে, ত্রিপুরার বিজেপি মুখপাত্র  নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, "একদিন বিজেপিতে ছিলেন, সব সুযোগ সুবিধে নিয়েছে। মানুষ গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষোভ দেখাতেই পারে।"