শুভেন্দু ভট্টাচার্য,কোচবিহার: তাঁর অবস্থান কী? জানতে চেয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক তথা সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী মিহির গোস্বামীকে চিঠি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সাত দিনের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ। বাম-কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা ১৯ বিধায়কের ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত? জানতে চেয়ে পাল্টা চিঠি পাঠালেন কোচবিহারের বিধায়ক।
এবার কি দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস? তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে লেখা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটি চিঠি ঘিরে সেই জল্পনাই জোরাল হল! কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ককে পাঠানো চিঠিতে বিধানসভায় তৃণমূল পরিষদীয় দলের ডেপুটি লিডার তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, আপনি তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হওয়া বিধায়ক। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন সংবাদ ও সমাজমাধ্যমে করা মন্তব্যের জেরে আপনি দলের সঙ্গে রয়েছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
এই চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আপনাকে নিজের অবস্থান জানানোর জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে। গত বছরের শেষদিকে হঠাত্ দলে থেকেও বেসুরো গাইতে শুরু করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। ৩ অক্টোবর তৃণমূলের সব সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন! এরপর ২৭ নভেম্বর দলের সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। সেদিনই দিল্লিতে বিজেপিতে যোগ দেন মিহির গোস্বামী।
এই প্রেক্ষাপটে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চিঠি পাঠানো নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাল্টা চিঠি পাঠিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়কও। সেখানে বাম ও কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মোট ১৯ জন বিধায়কের নাম উল্লেখ করে মিহির গোস্বামী পাল্টা লিখেছেন, তাঁদের পুরনো দলের পক্ষ থেকেও বিধায়ক পদ থাকা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে স্পিকারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যার নিষ্পত্তি হয়নি। দল পরিবর্তন করেও তাঁরা সকলে বিধায়ক পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
মিহির গোস্বামী জানান, ‘‘চিঠি পাঠালেও স্ট্যাম্প নেই। পার্থ পাঠিয়েছে কিনা জানি না। তাও ধরে নিলাম। গতকাল আমিও চিঠি পাঠিয়েছি। আমি বিধায়কদের নাম দিয়ে উল্লেখ করে বলেছি। নৈতিকতা তৃণমূলের মানায় না।’’
তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সাধারণ সম্পাদক, রাহুল রায় জানান, ‘‘গত ৫ বছর ক্ষমতার অলিন্দে থেকে সব ভোগ করেছেন। যেভাবে সত্ বলে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিলেন,তার কাছে নীতিকথা শুনব না।’’
তবে শুধু একা মিহিরই নয়, শীলভদ্র দত্ত, সুনীল সিংহ, সুনীল মণ্ডল-সহ একাধিক বিধায়ক-সাংসদ ঘাসফুল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তাঁদেরকেও কি অবস্থান জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে? প্রশ্ন উঠছে।