কলকাতা: পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কনভয় মাঝ উড়ালপুলে ২০ মিনিট আটকে থাকা নিয়ে নানা মহলে শোরগোল। আটক থেকে ফিরে মোদি এদিন বলেন, "ভাতিন্দা বিমানবন্দর পর্যন্ত বেঁচে ফিরতে পেরেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।" এদিকে, মোদির এই মন্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
এদিন তিনি বলেন, "ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী দেশের মধ্যে কোথাও আটকে যাওয়ার পর তাঁর যদি মনে হয় প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছে। এত যদি ভারতবর্ষ বিপজ্জনক হয়, তাহলে এটা সব থেকে বড় প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতা। কারণ তিনি দেশের মানুষকে সব রকমভাবে সুরক্ষা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।"
বিজেপি সরকারকে বিঁধে অধীর বলেন, "এদিকে মোদির নিজেরই মনে হচ্ছে প্রাণ সংশয়। এর থেকেই প্রমাণিত হয় এই সরকার ব্যর্থ, মোদিজি ব্যর্থ, ৫৬ ইঞ্চির ছাতি ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দুরাবস্থা থেকে আমরা সবাই শঙ্কিত। দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশের মধ্যেই প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা করছেন। ভাবতে হবে ভারতবর্ষ তাঁর নেতৃত্বে সবল হয়নি, বরং দুর্বল হয়েছে।"
কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে ২০ মিনিট আটকাল মোদির কনভয়। ভাতিন্দা বিমানবন্দর থেকে কপ্টারে হুসেইনিওয়ালা যাওয়ার কথা ছিল মোদির, কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য কপ্টারের বদলে সড়কপথেই সফর মোদির। আটক থেকে ফিরে মোদি এদিন বলেন, "ভাতিন্দা বিমানবন্দর পর্যন্ত বেঁচে ফিরতে পেরেছি। মুখ্যমন্ত্রীকে আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।"
সংবাদসংস্থা এএনআই নরেন্দ্র মোদিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে এসে সেখানের আধিকারিকদের একথা জানিয়েছেন। এদিকে,নিরাপত্তার গাফিলতির অভিযোগে পাঞ্জাব সরকারের রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই ঘটনার পর লুধিয়ানার সভা বাতিল করেই দিল্লি ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চান্নির ইস্তফা দাবি করেছে বিজেপি।