রাণা দাস, পূর্ব বর্ধমান: রাতের ট্রেনে ভয়াবহ ঘটনা। ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন এক মহিলা। কাটোয়া-ব্যান্ডেল (Katwa-Bandel local) শাখার ট্রেনে, বুধবার রাতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সোনার দুল ছিনতাই করে এক মহিলা যাত্রীকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, সারারাত ওই রেললাইনের (Rail Track) পারেই পড়েছিলেন ওই মহিলা। বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রেলের তরফে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই মহিলার পাশেই রেললাইনে পড়েছিল এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মৃতদেহ। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কাটোয়া স্টেশনের কিছুটা আগে বেরা গ্রামের কাছে লাইনের পাশে এই ঘটনা ঘটে।
গুরুতর জখম মহিলা যাত্রীর নাম রাধিকা মণ্ডল। বুধবার রাত থেকে বাড়ি না ফেরায় তাঁর খোঁজ শুরু হয়। ওই মহিলাই নাকি বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন। থানায় মিসিং ডায়েরি ও রেল পুলিশকে জানানো হয়। তারপরেই বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির লোক এসে পৌঁছয়। রাধিকা মণ্ডলকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। রাধিকা মণ্ডলের দাবি, তিনি ট্রেনে ওঠার পরে একসময় এক ব্যক্তি তাঁর কানের দুল ছিনতাই করতে যান। সেই সময় কানের দুল বাঁচাতে ছিনতাইকারীকে বাধা দেন রাধিকা। সেই সময়েই কোনওভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান রাধিকা। রাধিকার দাবি, তাঁর সঙ্গেই ট্রেন থেকে পড়ে যান ছিনতাই করতে আসা ওই যুবক। তাঁরই দেহ পড়েছিল তাঁর পাশে।
রাধিকা মণ্ডলের স্বামী মিঠুন মণ্ডলের দাবি তাঁর স্ত্রী নিজের ওষুধ কিনতে নবদ্বীপ গিয়েছিলেন। রান ন'টার পরে কাটোয়াগামী ট্রেনের মহিলা বগিতে উঠেছিলেন রাধিকা। সেই সময়েই ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়, তারপরেই ট্রেন থেকে পড়ে যান রাধিকা। এই ঘটনায় ব্যাণ্ডেল-কাটোয়া রেলপথে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদি রাধিকা মণ্ডলের দাবিই সত্যি হয়, তাহলে ট্রেনের মহিলা বগিতে কীভাবে একজন পুরুষ উঠতে পারল সেই প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি সেই সময় আদতে কী ঘটেছিল, তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।