কলকাতা: তৃণমূলে ফিরে গেলেন একদা শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ সিরাজ খান। নভেম্বরেই তিনি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পুরনো দলে ফিরেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। এ নিয়ে সিরাজকে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি-ও। সিরাজ জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। এরপর দু’মাসও কাটেনি। রবিবার ফের ফুল বদল করলেন সিরাজ। পদ্মফুল থেকে ফিরে গেলেন ঘাসফুল শিবিরে। গত নভেম্বর মাসেই বিজেপির এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুরের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান ৷
জেলার রাজনীতিতে তিনি অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ছিলেন। এরপর দু’মাসও কাটেনি। রবিবার ফের ফুল বদল করলেন সিরাজ। পদ্মফুল থেকে ফিরে গেলেন ঘাসফুল শিবিরে। এদিন তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রর উপস্থিতিতে যোগদান করলেন তিনি। বিধানসভা ভোটের মুখে ফের দল বদলে শুভেন্দু অধিকারীকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন সিরাজ।
সিরাজ খান জানান, ‘‘ শুভেন্দু কাজে বাধা দেন, উনি ‘আমি’, ‘আমি’ করেন, আর ‘আমিত্বে’ ভোগেন, ‘আমরা’ হলে কাজ করতে দেন না, সৌমেন মহাপাত্রর মতো নেতাকে তমলুক থেকে সরে যেতে হয়েছিল ভাল কাজ করায়, কথা দিয়েও আমাকে টিকিট দেয়নি৷ আমি ভুল করেছিলাম, তাই বিজেপিতে গিয়েছিলাম, ওটা বড় লোকের দল, তৃণমূল গরিবের দল, তাই বুঝতে পেরে ফিরে এলাম।’’ বিজেপিতে যাওয়া যে তাঁর ভুল হয়েছিল, এদিন সেকথা অকপটে স্বীকার করেন সিরাজ। আর এই যোগদানকে আপাতত নিজেদের জয় হিসেবেই দেখছে রাজ্যের শাসক দল। এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘বিজেপিতে গিয়ে ভুল করেছিল, তাই আবার ও ফিরে এসেছে৷’’
তবে সিরাজের এই ভূমিকা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘বিজেপি করতে গেলে দম থাকা দরকার, সর্বভারতীয় দলে থাকতে গেলে নিয়ম মানতে হয়, হয়তো তিনি সেটা মানতে পারছিলেন না৷’’ এদিকে, সিরাজের তৃণমূলে ফেরার দিনেই, অর্ণব রায় নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক নেতাকে নিজেদের দলে টানল বিজেপি। বেশ কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন অর্ণব রায়।