লে: পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার নিজের অনশন ভাঙলেন ইঞ্জিনিয়ার থেকে পরিবেশ কর্মীতে রূপান্তরিত হওয়া সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)।বিধানের ষষ্ঠ তপসিলের অধীনে লাদাখকে (Ladakh) বিশেষ সুবিধা দান ও হিমালয়ের পরিবেশ রক্ষার দাবিতে বেশ কয়েকমাস ধরেই সরব হয়েছে বাস্তবের বাস্তবের ‘র‍্যাঞ্চো’। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর কথায় কর্ণপাত না করায় মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে অনশনে বসেন সোনম। তখনই তিনি জানিয়ে ছিলেন যে টানা ২১ দিন ধরে নিজের দাবি পূরণে অনশন করবেন। 


মঙ্গলবার সোনম নিজের পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী লাদাখের লে-তে অনশন ভাঙলেন একটি ছোট্ট শিশুর হাত থেকে সরবত খেয়ে। তিনি যখন সরবতের গ্লাস হাতে তুলে নেন তখন খুশির হাসি দেখা যায় তাঁর পাশে থাকা অনুগামী ও সঙ্গীদের।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে গড়ে তোলা হয়েছিল দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। অবিভক্ত ওই রাজ্যে বিধানসভা ছিল। কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরকে বিধানসভা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তা সম্ভব হয়। তারপরই হিমালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ রক্ষার দাবি এবং লাদাখকে সংবিনের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত দাবি করেন ইঞ্জিনিয়ার থেকে পরিবেশকর্মী হয়ে ওঠা সোনম। মার্চের প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকার লাদাখবাসীদের জানিয়ে দিয়েছিল,তাঁদের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব নয়। এর প্রতিবাদেই ৬ মার্চ থেকে সোনম ও তাঁর অনুগামী সমর্থকরা আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। যার অবসান হল মঙ্গলবার। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও ভ্রুক্ষেপই দেখা যায়নি সরকারের তরফে। 





;


সোমবারই নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে লাদাখের এই বিখ্যাত সমাজকর্মী সোনম পোস্ট করেন, পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের জন্য যে অনশন শুরু করেছিলাম আজ তার ২০তম দিন। আমার সঙ্গে আর তিন হাজার মানুষ অনশন করছেন। কিন্তু, সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও শব্দ বের হল না। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে খুবই অপমানজনক একটি বিষয়। যখন এখানকার জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে এবং ২০ দিন ধরে ১০০ জনের মতো মানুষ আমার সঙ্গে অনশন করছেন। তখন সরকার এই বিষয়ে কোনও ভ্রূক্ষেপই করছে না। কিন্তু দেশজুড়ে যে জনসমর্থন পাচ্ছি তাতে আমরা অত্যন্ত অভিভূত। মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যম যখন বিষয়টির ক্ষেত্রে সমঝোতার মনোভাব নিয়ে চলছে তখন দেশের মানুষের ভালোবাসা আমাদের শক্তি জোগাচ্ছে।


আরও পড়ুন: Rudranil Ghosh: 'ব্যস্ত নেতারা আমাকে দেখতে পাননি', টিকিট না পেয়ে অভিমানী রুদ্রনীল!