নয়াদিল্লি: এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে মুখ খুলল আমেরিকা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির দিকে তাদের নজর রয়েছে বলে জানানো হল। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে ন্যায্য, স্বচ্ছ এবং দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। জার্মানির পর কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলল আমেরিকা। (US on Kejriwal)


কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে মুখ খোলেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া চাই আমরা।" এর আগে, কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খুলেছিল জার্মানি। কেজরিওয়াল ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার অধিকারী বলে জানিয়েছিল তারা। (Arvind Kejriwal Arrested)


আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ার পরই প্রতিক্রিয়া জানায় জার্মানি। তাদের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র সেবাস্টিয়ান ফিশার মুখ খোলেন। তিনি বলেন, "বিষয়টি নজরে এসেছে আমাদের। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা এবং মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি কার্যকর বলেই আশা রাখি আমরা। এই মামলার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য হবে বলে আশা করব। ন্যায্য এবং নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে কেজরিওয়ালের। আইনি সুযোগসুবিধা থেকে তাঁকে কোনও ভাবে বঞ্চিত হতে হবে না বলে আশা করা যায়। আইনের শাসনে দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত নির্দোষ। আমাদের আশা, এক্ষেত্রেও সেই নীতি মেনেই চলা হবে।"


আরও পড়ুন: Raghuram Rajan: অর্থনীতির কাঠামোতেই গলদ, জিগিরে বিশ্বাস করে লাভ নেই, দেশবাসীকে সতর্কবার্তা রঘুরামের


কিন্তু ফিশারের ওই মন্তব্য একেবারেই মনঃপুত হয়নি দিল্লির। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'এই ধরনের মন্তব্যকে বিচারপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ হিসেবেই দেখছি আমরা। আমাদের বিচারবিভাগের স্বাধীনতার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ভারত একটি উজ্জ্বল এবং মজবুত গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে আইনের শাসন কায়েম রয়েছে। আইন আইনের পথেই চলবে। এক্ষেত্রে অযাচিত পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ কাম্য নয়'। সেই নিয়ে জার্মান রাষ্ট্রদূতকে তলবও করা হয়।

 

সেই আবহেই এবার কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিতে মুখ খুলল আমেরিকা। গত ২১ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেজরিওয়ালতে আর্থিক তছরুপের নেপথ্যনায়ক হিসেবেও উল্লেখ করে তারা। কেজরিওয়াল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার তাঁকে হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করেছেন। বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ED-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি। বুধবার কেজরিওয়ালের ওই আবেদনের শুনানি হতে পারে। আপাতত জেল থেকেই দিল্লির সরকার পরিচালনা করছেন কেজরিওয়াল।