কলকাতা: সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) যখন মেয়র তখন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) মেয়র পরিষদের সদস্য। কালীপুজোর (Kalipujo) দিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে মর্মাহত শোভন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের নানা কথা উঠে স্মৃতি বিজরিত শোভনের গলায়।
শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এটি অত্যন্ত শোকবিহ্বল সময়। আমি অত্যন্ত মর্মাহত সুব্রতদার প্রয়াণে। আমাদের সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। আমার মনে পড়ছে ১৯৭৮ এর সময়ে যখন রাজনীতিতে আসি, তখন রাজনৈতিক ক্ষেত্রজুড়ে ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বহু সময় কাটিয়েছি। তিনি যখন মেয়র ছিলেন তখন তাঁর মেয়র পারিষদ হিসেবে কাজ করেছি। সারাক্ষণ পারস্পরিক নির্ভরশীলতা ছিল। আমি ওঁর গড়িয়াহাটের বাড়িতে আসতাম। এরপর একসঙ্গে যাতায়াত। বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে সময় কেটেছে। কিন্তু কালীপুজোর দিনে সুব্রতদার মৃত্যুতে খুব খারাপ লাগছে।
আরও পড়ুন, 'সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়', শোকবিহ্বল মমতা
তাঁর কথায়, রাজনৈতিক জীবনের নানা টানাপোড়েন হয়েছে। মতানৈক্যও হয়েছে। কিন্তু সম্পর্ক ছিল। শোভন বলেন, "যখন সিবিআই আমাদের নিয়ে যায় তখনও কথা হয়েছে। বাঁকুড়ায় দাঁড়ানো নিয়ে বলেছিলাম, তখন বলেছিলেন জয় আসবে।"
অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, "পাঁচ দশকেরও বেশি রাজনৈতিক জীবনে সবসময় বামেদের উল্টোদিকে লড়াই করেছেন। কিন্তু, শ্রমিক নেতা হিসাবে আবার সেই বামেদের শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে একযোগে লড়তেও পিছু হঠেননি। সদা হাস্যমুখ...নিজের দল থেকে বিরোধী...সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। এই ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।"
কালীপুজোর দিন অর্থাৎ শুক্রবার প্রয়াত বঙ্গ রাজনীতির বর্ণময় ব্যক্তিত্ব সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবন। বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী। ছিলেন ইন্দিরা গাঁধীর প্রিয়। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই জমানাতেই সামলেছেন মন্ত্রিত্বের গুরুদায়িত্ব। ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার রাজনৈতিক মহল।