কলকাতা : বিজেপি এবং তাদের বিভেদমূলক এজেন্ডাকে পরাস্ত করতে ব্যক্তি, সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলির কাছে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। একদিন আগেই বিরোধী-মঞ্চের কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই সুরেই মমতা আরও একবার বললেন,  "প্রাদেশিক দলগুলিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।"


এদিকে গোয়ার পর উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসেও ভাঙন ধরিয়েছে তৃণমূল। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন রাজেশপতি ত্রিপাঠী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে একইসঙ্গে তৃণমূলে যোগ দেন ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সহ সভাপতি ছিলেন ললিতেশপতি। 


উত্তরপ্রদেশের দুই নেতা দলে যোগ দেওয়ার পর মমতা বলেন, "বিজেপি শাসিত রাজ্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। গোয়ায় আজ তৃণমূলকে কর্মসূচি করতে দেওয়া হয়নি। কর্মসূচি করতে না দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না। অখিলেশ আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমরা আমাদের কাজ করব। মানুষের কথা বলবে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রাদেশিক দলগুলিকে আমরা শ্রদ্ধা করি। তাদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।"


এদিকে উত্তরবঙ্গ সফর সেরে আগামী ২৮ অক্টোবর গোয়ায় যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের লক্ষ্য যে আগামী বছরের গোয়া বিধানসভা ভোট, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন নেত্রী। তাঁর ট্যুইট, ২৮ অক্টোবর গোয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার আগে বিজেপি এবং তাদের বিভেদমূলক এজেন্ডাকে পরাস্ত করতে ব্যক্তি, সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলগুলির কাছে একজোট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষ ভোগান্তির শিকার। আমরা একসঙ্গে নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ভোরের সূচনা করব, যা গোয়ার জনগণের সরকার হবে এবং তাদের সমস্ত দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।


আগামী বৃহস্পতিবার ৪ দিনের গোয়া সফরে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরবেন ৩১ তারিখ। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেখানে তাঁর একাধিক দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, তাঁর উপস্থিতিতে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, কংগ্রেস সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতার। 


যোগ দিতে পারেন গোয়ার বিশিষ্টজনেরা। ইতিমধ্যেই, গোয়ায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা, আইপ্যাকের প্রতিনিধিরা। সম্প্রতি, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন গোয়ার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী, এআইসিসি-র প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক লুইজিনহো ফালেইরো। তাঁকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।