রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: রবিবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ত্রিপুরায় পুরভোটের গণনা। আগরতলা কর্পোরেশন, ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ হয় বৃহস্পতিবার। তার মধ্যে ৭টিতে ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। ভোটের আগেই ১১২টি আসনে বিনা লড়াইয়ে জিতে যাওয়ায় ৫টি পুরসভা ও ২টি নগর পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই হাতে এসেছে গেরুয়া শিবিরের। সে প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, "লাফালাফিই হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হবে না। এখান থেকে লোক ধার করে নিয়ে গিয়ে কি ওখানে জেতা যায়?" এদিকে, আগরতলা পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী অভিষেক দত্ত। তিনি বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএমের প্রার্থী প্রত্যাহারের ছক ব্যর্থ। পাশাপাশি, জানালেন ভোটে জেতার পর প্রথম কাজ হবে সিপিএম নেতার বাড়ির সামনের রাস্তা সারানো।
আরও পড়ুন, ওমিক্রন নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক, RT-PCR এও 'অধরা' ভাইরাস
অন্যদিকে, আগরতলা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী ভাস্বতী দেববর্মা। এখানে ২ নম্বরে বাম, ৩ নম্বরে নির্দল, ও চতুর্থ স্থানে তৃণমূল। আগরতলা পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী মিতু গুহ দাস। আগরতলা পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী তুষার ভট্টাচার্য। ভোটের ফলের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে, সিপিএম তিন নম্বরে।
এদিকে, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতায় পুরভোট। গতকালই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল ও বামেরা। এরপরই বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচারে নামলেন প্রার্থীরা। কলকাতা পুরসভার ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। এদিন মেয়েকে নিয়ে চেতলায় নিজের এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন তিনি। অন্যদিকে, ডার্বির পরের দিন কলকাতা পুরভোটের প্রচারে নেমে ফুটবল খেললেন বাবুল সুপ্রিয়। এদিন ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অসীম বসুর সমর্থনে এলগিন রোডে প্রচার করেন বাবুল।