ডোমজুড় : নাম না করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেনজির আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডোমজুড়ের সভা থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখানো সেখানকার বিদায়ী বিধায়কের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'ফর্সা-টর্সা, লম্বা-টম্বা দেখতে বুঝতে পারিনি ভেতরে এত প্যাঁচ, এত গদ্দারি, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।'


কয়েকমাস আগে যখন বনমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন বিধানসভা থেকে তিনি বেরিয়ে আসার সময় হাতে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের  ছবি। যদিও গাড়িতে ওঠার পরে তিনি সামনের সিটে বসে ছবিটি রেখেছিলেন পিছনের সিটে, যে দৃশ্যটাই প্রতীকী হয়ে ওঠে কয়েকদিনের মধ্যে। দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন হাওড়ার ডোমজুড়ের বিধায়ক। তারপর বয়ে গিয়েছে বেশ কিছুটা সময়, ক্রমশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি।


পাল্টা আক্রমণ ভেসে এসেছে রাজ্যের শাসক দলের তরফেও, খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নাম না করে গদ্দার বলে অভিহিত করেছিলেন। এদিন ডোমজুড়ে সভা থেকে আক্রমণের রেশ বেশ কিছুটা বাড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টে ও থাকার সময়ই বেশ কিছু কমপ্লেন পাই, আর্থিক অভিযোগ হওয়ায় সরিয়ে বনমন্ত্রকে দিই। আমাকে তারপর কী বলে জানেন, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোনও দফতর যেন দেওয়া হয়, যাতে ভালো করে কমিশন নেওয়া যায় আর কী' তারপরই তৃণমূল সুপ্রিমো জোড়েন,  'আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আসলে ফর্সা-টর্সা, লম্বা-টম্বা তো, বুঝতে পারিনি ভেতরে এত প্যাঁচ, এত গদ্দারি।'


সেখানেই না থেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়েন, 'কী ছিলে আর কলকাতা, দুবাই জুড়ে কী সম্পত্তি করেছো, তার হিসেব আগে মানুষকে দাও তারপর অন্যের নামে কথা বলতে যেও, তারপর ভোট চাইতে যেও।'


এদিকেনির্বাচন কমিশনে তাঁর নামে নালিশ এবং সেই ঘটনায় শো-কজ হওয়া নিয়ে এবার গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের চতুর্থ দফার ভোটের আগে ডোমজুড়ের জনসভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁঙ্কার, 'আমাকে দশটা শো-কজ করলেও কিছু যায় আসে না। উত্তর একই হবে।' পাশাপাশি সভামঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা নরেন্দ্র মোদিকে ও নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেছেন।