অর্ণব মুখোপাধ্যায়,কলকাতা: গতকালের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেও বিস্ফোরক আব্বাস সিদ্দিকি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি বলেছেন, ‘মোদি-দিদি দুজনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন কংগ্রেসের এক নেতা।‘ সঙ্গে তাঁর তোপ, ‘ভোটের পর উঁচু পদের বিনিময়ে তৃণমূলকে সমর্থন করবে কংগ্রেস’। তাঁকে এই তথ্য এক ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ বলেছেন বলে দাবি আব্বাস সিদ্দিকির।
এদিকে গতকাল ব্রিগেড মঞ্চ থেকেই কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া আব্বাস তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে বলেছেন, ‘প্রদীপ’দা বলেছেন কংগ্রেসের হাতে মাত্র ৫২ আসন। এত কম আসন থেকে আব্বাসকে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই গতকাল বলেছিলাম, অবস্থান স্পষ্ট করুক কংগ্রেস।‘
এদিকে ব্রিগেডের মঞ্চে যে জোটে জল্পনা তৈরি হয়েছে সেটা পরিষ্কার হয়েছিল কংগ্রেস নেতাদের কথাতেও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীও সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, ‘জোট নিয়ে আমাদের বামেদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, বাকিদের কথা জানি না। আর আমাদের নিজেদেরই তো এখনও আসন সংখ্যার বিষয়টা নিশ্চিত হয়নি। ‘ যে প্রসঙ্গেও কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে আব্বাস বলেছেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে থাকব কি না সেই স্বাধীনতা আমাদের আছে।’
গতকাল ভোটের আগে ভরা ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে প্রত্যেকের গলাতেই উঠে এসেছিল জোটের বার্তা। একজোটে সকলে ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যে পরিবর্তনের। কিন্তু, তার মধ্যে কিছুটা হলেও তাল কাটে কংগ্রেসের উদ্দেশে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ-র প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির বার্তায়।
(আরও পড়ুন-
জোটে সিপিএমের তরফে আইএসএফ-কে ৩০টি আসন ছাড়া হয়েছে। কংগ্রেসের কাছে ১০টি আসন চেয়েছে আইএসএফ-কে। কিন্তু, তা নিয়ে এখনও রফা হয়নি। শনিবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিমদের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠকে বসেন অধীর চৌধুরী, প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আব্দুল মান্নানরা। সূত্রের খবর, আইএসএফ-কে আসন ছাড়ার প্রসঙ্গ উঠতেই সিপিএমের কাছে আরও ১৮টি আসন দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ১১০টি আসন কংগ্রেসকে ছাড়া হোক। সেখান থেকে ৫-৬টি আসন আইএসএফ-কে ছাড়া হবে।
এই টানাপোড়েন নিয়েই রবিবার ব্রিগেড ছাড়ার সময় কড়া বার্তা দেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস। মঞ্চের নীচে তিনি বললেন, সনিয়া চাইলেও এরাজ্যে ঢিলেমি হচ্ছে। দু-এক দিন দেখে প্রার্থী ঘোষণা করে দেব। যার পাল্টাই বলেছে অধীর চৌধুরী।
সবমিলিয়ে হঠাৎই জোট আবহে বেসুরোর সুর।